চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জেনে রাখা ভালো

মাদার তেরেসা

৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

১৯১০ সালে, আলবেনিয়ার স্কোপ্জে শহরে ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন মাদার তেরেসা। বর্তমানে এই শহরটা আজ মেসিডোনিয়া রিপাবলিকের অন্তর্গত। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিলো অ্যাগনিস। ছোট্ট অ্যাগনিস মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর বাবাকে হারায়। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা তাঁকে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন।
জোয়ান ক্রাফট লুকাস রচিত তেরেসার জীবনী থেকে জানা যায়, ছোট্ট অ্যাগনিস মিশনারীদের জীবন ও কাজকর্মের গল্প শুনতে বেশ ভালোবাসতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় জীবন-যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তিনি
গৃহত্যাগ করে একজন মিশনারী হিসাবে যোগদান করেন সিস্টার্স অব লোরেটো সংস্থায় ।
ব্যাস, সেদিন থেকে অ্যাগনিসের মা আর দিদিদের সাথে তাঁর আর কোনোদিন দেখা হয়নি ।
১৯২৯ সালে ভারতের দার্জিলিংয়ে এসে নব দীক্ষিত হিসাবে তিনি সেখানকার একটি মিশনারীতে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৩১ সালের ২৪ মে, তিনি সন্ন্যাসিনী হিসাবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। সেইসময় তিনি মিশনারীদের পৃষ্টপোষক সন্ত তেরেসা দি লিসিয়াক্সের নামানুসারে তেরেসা নামটা গ্রহণ করেন।
১৯৩৭ সালের ১৪ মে, পূর্ব কোলকাতার লরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় তিনি নিজের মনে চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করেন এখানকার দীন-দরিদ্র মানুষদের বাকিটা জীবন সেবা করবেন । তাই স্কুলে পড়াতে তাঁর ভালো লাগলেও কলকাতার দারিদ্রে তিনি ভিতর ভিতর বেশ উদ্বিগ্ন হতে লাগলেন ।
১৯৫০-এর মন্নন্তরে শহরে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুঃখ আর মৃত্যু। তাছাড়া এর আগে ১৯৪৬ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাতেও ভারতের বহু নিরীহ মানুষ মারা যান। সেই থেকে এইসব ঘটনা তেরেসার মনে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করে ।
পড়ানোর ফাঁকে সিস্টার মাদার তেরেসা শহরের আর্তদের সেবা চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে ১৯৪৮ সালে লরেটো কনভেন্ট স্কুলের সাধারণ পোশাক ছেড়ে দিয়ে নীলপার সাদা শাড়িতে নিজেকে সারাজীবনের জন্য বদলে ফেলেন মাদার তেরেসা । আর সেই বছরই ভারতের নাগিরিকত্বও পেয়ে যান তিনি। ১৯৫০ সালে ৭ই অক্টোবর, ভ্যাটিকানের অনুমতি নিয়ে কলকাতায় স্থাপন করেন ‘মিশনারীস অব চ্যারিটি’ নামক সংস্থা। শেষমেষ নিজের দেহত্যাগ করেন ১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ।
মাদার তেরেসার বাণী

– ছোট বিষয়ে বিশ্বস্ত হও কারণ এর ওপরেই তোমার শক্তি নির্ভর করে।
– মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ।
– আনন্দই প্রার্থনা, আনন্দই শক্তি, আনন্দই ভালোবাসা।
– হৃদয়কে স্পর্শ করতে চায় নীরবতা। কলরবের আড়ালে নীরবেই পৌঁছাতে হয় আর্তের কাছে।
– তুমি যখন কারও সঙ্গে দেখা কর, তখন হাসিমুখ নিয়েই তার সামনে যাও। কেন না হাস্যোজ্জ্বল মুখ হল ভালোবাসার শুরু।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট