চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বই পড়ার উপকা­ি­­রতা ও সার্থকতা

মুহাম্মদ আবু নাসের

৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

যে যত বেশী জ্ঞানী, সে তত বেশি ধনী। পক্ষান্তরে, বিশ্বে যারা ধনী হয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই বইপ্রেমী ছিলেন। বারাক ওবামা, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ প্রত্যেকেই প্রচুর বই পড়েন। বই পড়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য, উপাত্ত পাওয়া যায়। যখন নিজেকে একা এবং অসহায় মনে হয় তখনই বই পড়া শুরু করুন। খুব শীঘ্রই এটা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। আপনি যদি দুঃখী হন, বই আপনাকে আনন্দ দেবে, সঙ্গ দেবে। শরীরের অন্যান্য অংশের ন্যায় মস্তিষ্কের ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে।

জ্ঞানের ভা-ার বৃদ্ধি করতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। হোক সেটা ফিকশন বা

নন-ফিকশন বই। জ্ঞানের পরিধি অসীম। যত বই পড়বে, জ্ঞান ততই বৃদ্ধি পাবে। বই পড়া মানে নানান বিষয় সম্পর্কে জানা। মানুষের মননশীল, চিন্তাশীল, সৃষ্টিশীল যাবতীয় ভাবনার সূচনা ঘটে বই পড়ার মাধ্যমে। যত বেশি বই পড়বে, তত ভাষাগত জ্ঞান ও শব্দভা-ার বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে লেখার দক্ষতাও। নিজের পছন্দের বই, গল্প, উপন্যাস বা যে কোন লেখা পড়লে মানসিকভাবে অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়। মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিমূলক বই খুবই উপকারী।
বই আমাদের বিশ্বের সফল মানুষ সম্পর্কে জানায়। গুণীজনদের জীবনের নানা কথা বইয়ের মাধ্যমে জানা যায়। তাঁদের
সফলতা-ব্যর্থতার কথা জানা যায়, যা জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে

যে যত বেশী জ্ঞানী, সে তত বেশি ধনী। পক্ষান্তরে, বিশ্বে যারা ধনী হয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই বইপ্রেমী ছিলেন। বারাক ওবামা, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ প্রত্যেকেই প্রচুর বই পড়েন। বই পড়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য, উপাত্ত পাওয়া যায়।
যখন নিজেকে একা এবং অসহায় মনে হয় তখনই বই পড়া শুরু করুন। খুব শীঘ্রই এটা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। আপনি যদি দুঃখী হন, বই আপনাকে আনন্দ দেবে, সঙ্গ দেবে। শরীরের অন্যান্য অংশের ন্যায় মস্তিষ্কের ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। যেমনÑ গোয়েন্দা উপন্যাস কিংবা মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বই পড়লে এক ধরনের উত্তেজনা উদ্দীপনা কাজ করে। মস্তিষ্ক

উদ্দীপনাময় এবং কর্মচঞ্চল থাকলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
বই মানুষের মানবতা ও মনুষ্যত্ব জাগ্রত করে। প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। বই আত্মার ঔষধ। বই পাঠকের জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ায়। যা একজন পাঠককে আলোকিত করে। একই সঙ্গে আলোকিত করে পুরো জাতিকে। শুধু পাঠ্যবই পড়ে শব্দভা-ার বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। যখন আমরা দেশি-বিদেশি নানা ধরনের বই পড়ব, তখনই আমাদের শব্দভা-ার বৃদ্ধি পাবে। যখন আমরা একটি গল্প বা উপন্যাস পড়ি, তখন চরিত্র, চরিত্রের নাম, ধরন কাহিনী, উদ্দেশ্য, ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয় মনে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে প্রচুর ব্রেইন ওয়ার্ক হয়; যা স্মরণশক্তি বাড়াতে

সহায়তা করে। প্রাত্যাহিক জীবনের যে কোন ধরনের মানসিক চাপকে পাশ কাটিয়ে যেতে একটা ভালো বই পড়াই যথেষ্ট। বই শুধু জ্ঞানার্জন বা তথ্য আহরণের উপায় নয়। একই সাথে বই বিনোদনও দেয়। পাঠকের অনুভূতি নিয়ে বই দারুণভাবে খেলা করে।
বইয়ের একটা নিজস্ব নির্যাস আছে। পাতার একটা গন্ধ আছে। যেটা পাঠককে আচ্ছন্ন করে। বিভিন্ন ব্লগ, সাইট, অ্যাপসে লেখা পড়ে প্রকৃত বইয়ের রস আস্বাদন করা যায় না। বই পড়লে মানুষের সৃজনশীলতা বাড়ে। সৃজনশীল কিছু করার আগ্রহ জন্মে। একটা বই পড়তে পড়তে অনেক সময় পাঠক তার মতো করে গল্পের শেষটা ভাবতে থাকে কিংবা রহস্য উপন্যাসে নিজেই রহস্যটা উন্মোচন করে ফেলে; যা পাঠকের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।­
ব্যক্তিজীবনের উন্নতি শুরুই হয় বই পড়া থেকে। নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা, কোন সমস্যার নবতর সমাধান পাওয়া যায় বই থেকে। সর্বোপরি ব্যক্তিত্ব গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন