চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বুয়েটে র‌্যাগিং ও রাজনীতিতে জড়িত হলে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক

৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:২০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‌্যাগিং ও রাজনীতিতে কোনো শিক্ষার্থী জড়িত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি চিরতরে বহিষ্কারের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

সোমবার রাতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটে কেউ সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করলে সর্বোচ্চ সাজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত হলে, রাজনৈতিক পদে থাকলে, রাজনীতি করতে কাউকে উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করলে অপরাধ সাপেক্ষে শাস্তি সতর্কতা, জরিমানা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো মেয়াদে বহিষ্কার করা হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র‌্যাগিংয়ের কারণে কোনো ছাত্রের মৃত্যু হলে অভিযুক্তকে বুয়েট থেকে চিরতরে বহিষ্কার ও তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। কোনো ছাত্র গুরুতর শারীরিক ক্ষতির শিকার হলে বা মানসিক ভারসাম্যহীনতার শিকার হলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে। এতে আরো বলা হয়, মৌখিক বা শারীরিক লাঞ্ছনা এবং সাময়িক মানসিক ক্ষতিসহ এ সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি হচ্ছে সতর্কতা, জরিমানা, হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার বা একাডেমিক কার্যক্রম থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরত রাখা। এ ধরনের অপরাধীকে শিক্ষাজীবনে ফিরতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক করে দেওয়া মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাউন্সেলিং করতে হবে।

গত ৬ অক্টোবর বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৭ নভেম্বর বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি পূরণ হলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। এবার এই নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবিই পূরণ হয়েছে বলে মনে করে বুয়েট প্রশাসন। 

আর তৃতীয় দাবি অনুযায়ী সোমবার রাতে ছাত্ররাজনীতি ও র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকলে চিরতরে বহিষ্কারের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন