চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি

শিক্ষার্থীদের চাহিদা বিশেষায়িত বিজ্ঞান কলেজ

এম. সারওয়ার

৬ মে, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

এসএসসি-র ফল বেরুলো আজ।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা এরিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবছরের মত এবারও নগরীর খ্যাতিমান সরকারী কলেজগুলোতে সেরাদের সেরারা ঠাঁই করে নেবে। যেখানে কম নম্বরধারী জিপিএ-৫-প্রাপ্তদেরই অনেকে সুযোগ পাবে না। সেখানে ৫-এর কম
জিপিএধারীদের কথা বলাই বাহুল্য! তাই এই মুহুর্তে অভিভাবকের একমাত্র চাওয়া সরকারী কলেজে না হলেও ভাল একটি কলেজে সন্তানকে ভর্তি করানো। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের সচেতন অভিভাবক মহলের আস্থা অর্জন করে সার্বিক বিচারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয় অনুমোদিত (ঊওওঘ-১৩৪৭৮০) এই কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশেষায়িত বিজ্ঞান কলেজ হিসেবে নিজের স্বকীয়তা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। উন্নততর শিক্ষাপরিবেশ, নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ, মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসনির্ভর পাঠদান, এসএমএস এলার্টের মাধ্যমে ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, মেধাবী শিক্ষকগণের তৈরী হ্যান্ডনোট, ছাত্রছাত্রীদের নিবিড় পরিচর্যা, দ্রুত সিলেবাস সমাপন, ক্লাস পরীক্ষা, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা এবং ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে বোর্ড পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্ট গ্রহণ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী পাঠপদ্ধতি নগরীর শিক্ষাঙ্গনে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ । এই সুনামের পরম্পরায় একই ট্রাস্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয় অনুমোদিত সিটি বিজ্ঞান কলেজ
(ঊওওঘ-১৩৫৩৪৫) এবং চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ (ঊওওঘ-১৩৭৮১১)।
সচেতন একজন অভিভাবক কেন এই কলেজকে বেছে নেবে?
এই প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ড. মো.জাহেদ খান বলেন, ‘শুধুমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে ২০০৯ সাল থেকেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করে আসছি।এখানে রয়েছে ৩৫টি পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস। এইচএসসি-তে পাঠ্যবই এর পাশাপাশি শতভাগ ভালো ফলাফলের জন্য বিষয়ভিত্তিক হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয়। প্রতিটি টার্ম পরীক্ষা শুরুর আগে সিলেবাসে বিদ্যমান অধ্যায়গুলোর সলভশীট, ক্রিয়েটিভ শীট ও নোট সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন ক্লাসে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা ক্লাসেই
রিভিশনসহ বুঝানো, শিখানো ও আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এতকিছুর পরও যারা খারাপ ফলাফল করে তাদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার, যেখানে দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা পড়িয়ে পাঠ আদায় করা হয়। ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। স্বয়ংক্রিয় অঃঃবহফধহপব ঝবৎারপব এর মাধ্যমে অভিভাবক জানতে পারেন কলেজে তার সন্তানের আগমন ও প্রস্থানের সঠিক সময়। কেবলমাত্র এইচএসসি পাশ নয়, এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, মেরিন একাডেমিতে সরাসরি ভর্তি, বিদেশে
(এমবিবিএস,ইঞ্জিনিয়ারিং, বার-এট-ল) পড়াশুনায় সরাসরি সহযোগিতা করা হয়। এইচএসসি-তেই আমরা সহযোগিতা করব দেশের মেডিকেল / ইঞ্জিনিয়ারং এ চান্স পাওয়ার জন্য। এ ছাড়াও জেএফ ট্রাস্ট প্রতি বছর বিনা বেতনে/ অর্ধ-বেতনে অসচ্ছ্বল শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। শিক্ষাবান্ধব এসব পদক্ষেপের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এইচএসসিতে অ/অ+ পেয়ে মেডিকেল / ইঞ্জিনিয়ারিং/ বিশ^বিদ্যালয়ে-তে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে”।
সাফল্যের সিঁড়ি ঃ একজন সফল মেধাবী সৈয়দা আশরাফুন্নেসার অনুভুতি-“এসএসসি-তে ভালো রেজাল্টের পর ইচ্ছে ছিল সরকারি কলেজে পড়ার। কিন্তু তা আর হল না।
অনেক সংশয় নিয়ে বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যার কারণে এসএসসি-র মতো এইচএসসি তেও জিপিএ-৫.০০ নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাই”। এই কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে হুমাইদ এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ এর ছাত্র এবং জিপিএ-৪.৫ পাওয়া ফাহিন এখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী। এরুপ অসংখ্য মেধাবী ছাত্রছাত্রীর গৌরবময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ।
বিশেষ হ্যান্ডনোট ঃ সাফল্যের প্রধান কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘লেখাপড়ার বিষয়ে আমরা কোন ছাড় দেই না। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমাদের বিশেষ হ্যান্ডনোট।
অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও বোর্ড পরীক্ষক শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ প্যানেলের তত্ত্বাবধানে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির আলোকে প্রতিটি বিষয়ে প্রস্তুতকৃত হ্যান্ডনোট ছাত্রছাত্রীদের কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সহজবোধ্য ও কৌশলপূর্ণ এই নোট অনুসরণ করলে বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার জন্য আর কোন নোট বা গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হবেনা’।
কথা হয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে। তারা জানায়, ‘আমাদের সহপাঠি যারা সরকারী কলেজে পড়ছে তাদের তুলনায় সিলেবাস সমাপণে আমরা এগিয়ে আছি। কারণ একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে নিয়মিত ক্লাস হয় এখানে। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপিত হয় বলে তা বুঝতে অত্যন্ত সহজ হয়। আর কলেজের তৈরী বিশেষ হ্যান্ডনোট নিঃসন্দেহে পরম পাওয়া! এই নোটগুলো আত্মস্থ করতে পারলে সৃজনশীল পদ্ধতির যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো আমাদের অধ্যক্ষ জাহেদ স্যারের রসায়ন ক্লাস। তাঁর ক্লাস করার পর রসায়নে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে স্যারের উপদেশ সত্যিই অতুলনীয়!’
ঈর্ষণীয় ফলাফলের পাশাপাশি জাতীয় দিবস সমূহ পালন এবং সাংস্কৃতিক ও খেলাধূলা চর্চায়ও কলেজের আয়োজন বেশ প্রশংসনীয়। বিজ্ঞান মেলায় ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ। সবশেষে একথা বলা যায়, তুলনামূলক স¦ল্প খরচে অত্যাধুনিক ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ও বিজ্ঞানের জন্য বিশেষায়িত ‘চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ’ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে ‘চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ’ মেধাবী প্রজন্মের ক্যারিয়ার বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
কলেজের ট্রাস্ট উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবু জাফর চৌধুরীর
নেতৃত্বে একটি বিশেষ পরামর্শ সেল গঠন করা হয়েছে, যেখানে ভর্তিজনিত যে কোন জটিলতা এবং সমস্যা নিরসনে অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ পরামর্শ দেবেন। কেননা গত বছরেও কলেজ ভর্তির আবেদনে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মতি টাওয়ার (৫ম তলা), চকবাজার, চট্টগ্রাম এই ঠিকানায় এবং ০১৮১৭-২৯১৮৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করে কিংবা ঈযধঃঃধমৎধস ইরমমধহ
ঈড়ষষবমব- ফেসবুকে লগইন করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট