চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পড়া তৈরী করার উপায়

ফেরদৌস আরা

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

জীব জন্তু বা পশুপাখি জন্মের পর পরই তার নিজেস্ব পরিচয় ধারণ করে। কিন্তু একটি মানব শিশুকে ‘মানুষ’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করাতে হলে অবশ্যই লেখাপড়া শিখতে হয়। লেখাপড়া শিখে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই মানব শিশু একদিন মানুষত্ব লাভ করে ও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব (আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টি সেরা জীব) প্রমাণ করে। প্রতিটি শিশুর পড়ালেখা শেখার শুরু হয় নিজ পরিবারে, তারপর একদিন সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য স্কুল, কলেজ ও ক্রমান্বয়ে
ইউনিভার্সিটিতে যায়। কিভাবে পড়া তৈরি করতে হয়, সে বিষয় নিয়ে আজ প্রিয় শিক্ষার্থীদের কিছু টিপস দিব, যা পড়ে হয়তো কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।
একজন শিক্ষার্থীর প্রথম কাজ হলো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের আলোচনা মানোযোগ দিয়ে শুনা, আলোচনার কোন অংশ না বুঝে থাকলে দাঁড়িয়ে শিক্ষককে প্রশ্ন করে অবশ্যই বুঝে নেয়া। এবার ঐ শিক্ষার্থী বাসায় ফেরার পর সন্ধ্যায় যখন পড়তে বসবে তখন তাকে নিয়ম মানতে হবে, যেমন- প্রথমেই ঐ দিন বিদ্যালয়ে যে কয়টি বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো মিলিয়ে একবার পড়ে নিতে হবে। এরপর শিক্ষক সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে কোন বাড়ীর কাজ দিলে তা নিজে করতে হবে। তারপর ঐ একই বিষয়ে পরবর্তী দিন শিক্ষক কোন অংশটি পড়াবেন সেই অংশটুকু একবার রিডিং
(জবধফরহম) পড়ে নিতে হবে। এতে পরবর্তী দিনে শিক্ষকের আলোচনা বুঝতে সহজ হবে। এ নিয়মটি মেনে চললে প্রতিটি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের পাঠ ভালোভাবে বুঝতে পারবে ও তার দিনের পড়া দিনেই শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ কোন পড়া জমে থাকবে না। আর সম্মানিত
অভিভাবকদের বলব আপনারা যদি সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের পড়া তৈরির সময়ে একটু পাশে বসেন তাহলে ঐ শিক্ষার্থীর জন্য পড়া তৈরির কাজটি আরও অনেক সহজ হবে। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই কোমলমতি শিক্ষাথীদের জন্য প্রায় স্কুলে যাওয়ার শুরু থেকেই অনেক
অভিভাবক বাসায় গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করেন। এতে করে স্কুল শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকের পাঠাদানের সমন্বয় না হওয়ার কারণে অনেক সময় শিক্ষার্থীর উপকারের চেয়ে বরং অপকারই বেশি হয়। তাই সম্মানিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব শিক্ষার্থীর পড়া তৈরির ঐ সময়টাতে আপনি যতটা সম্ভব সময় দেন। এতে করে বাবা-মা-সন্তানের সাথে আন্তরিকতার সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে। কারণ ঐ সন্তান বুঝতে পারবে আমার বাবা-মা সারাদিন কতটা ব্যস্ত থাকার পরও এখন সন্ধ্যায় আমার পড়ার কাজে সাহায্য করছেন। তারা আমার সবচেয়ে আপনজন, তাই সবসময় তারা আমার পাশে থাকবেন। এ বিশ^াস ঐ সন্তানকে আরও বেশি আত্মবিশ^াসী করে তুলবে। আর যদি নিতান্তই গৃহশিক্ষক দিতে হয় তাহলে ঐ গৃহশিক্ষকের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের যোগাযোগ করিয়ে দেন যেন দুজনের পাঠদানে সমন্বয় হয়। আমরা খঝঈঈ শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের এভাবেই পড়া তৈরিতে অনুপ্রাণিত করি। আর বিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যক্ষ (যিনি পরপর দু’বার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন)। জনাব কর্নেল আবু নাসের মোঃ তোহা, বিএসপি, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অবঃ) অবিভাবক সমাবেশে এমনিভাবে প্রতিটি অভিভাবককে আহবান করেন সন্তানের পাশে বসে সন্তানকে পড়া তৈরীতে সাহায্য করার। এমনিভাবে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক আমরা সবাই একই দিক নির্দেশনায় চলছি বলেই মাত্র ১ বছরে আমাদের রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন। ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ চট্টগ্রাম ও লিডার্স পরিবার দেশে বিদেশে আরও অনেক অবদান রাখবে।
লেখক- ভাইস প্রিন্সিপাল
লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ চট্টগ্রাম

শেয়ার করুন