চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

উপাচার্যরা চান অনলাইনে হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর, ২০২০ | ৯:০০ অপরাহ্ণ

চলতি বছর সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’। উপাচার্যরা মনে করেন, এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব।

পরিষদের ভার্চুয়াল এক সভায় আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ওই সভায় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশগ্রহণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই বৈঠকে অংশ নেয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বৈঠকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ নূরের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রস্তাব এসেছে। এ প্রস্তাবে সবাই প্রশংসা করেছেন। এখন এই প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেখানে তারা যাচাই-বাচাই করবে।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি, এটি ব্যবহার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছোট খাট পরীক্ষা নেয়ার সেটি ব্যবহার করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে। এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষাটি হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) ভিত্তিতে।

সমন্বিতভাবে এই ভর্তি প্রক্রিয়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় আসবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, তারাও এটাতে আসতে রাজি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান, কৃষি, সাধারণ-এভাবে কয়েকটি ভাগে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি উপাচার্য মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন এই পরীক্ষা অনলাইনে হবে না কি সশরীরে হবে তা আরও আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। তবে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের তৈরি করা একটি সফটওয়্যার উপস্থাপন করা হলে অনেক উপাচার্য তাতে ‘কনভিন্স’ হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সরকার ও ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট