চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেড: সিনিয়রদের তেমন লাভ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ অক্টোবর, ২০২০ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

১৩তম গ্রেড নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট উৎকণ্ঠার অবসান হলেও শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে। শুরু থেকেই প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে বেতনের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। এই দাবি এখনো পূরণ না হওয়ার কারণে ১৩তম গ্রেড নিশ্চিত হওয়ার পরও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এই গ্রেডে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা লাভবান হলেও পুরনো বা সিনিয়র শিক্ষকরা তেমন উপকৃত হবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। ২০১৯ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে উন্নীত হবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। কিন্তু এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৩ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালা, ১৯৯১ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৫তম গ্রেডে নতুন যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষকগণ বেতনের বেসিক হিসেবে ৯ হাজার ৭০০ টাকা পেতেন। এখন ১৩তম গ্রেডে পাবেন ১১ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৬৬ হাজার। যেখানে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার। এছাড়া, চট্টগ্রাম জেলার ২ হাজার ২৬৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজারের অধিক শিক্ষক রয়েছেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট