চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গৃহেই শিশুর সততার পরীক্ষা

মিহরাজ রায়হান

১১ জুলাই, ২০২০ | ১:১৪ অপরাহ্ণ

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ১৬ মার্চের পর থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে কবে খুলে দেয়া সম্ভব হবে তাও নিশ্চিত নয়। শিক্ষাব্যবস্থা অনেকদিন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার পর সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দূরশিক্ষণ, অনলাইন ক্লাস ও ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে যাদের ঘরে টেলিভিশন নেই, যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো পড়েনি, ইন্টারনেটের আশীর্বাদ যাদের কপালে জুটেনি- তারা বরাবরই সে সুযোগ থেকে বঞ্চিতই রয়েছে। বছরের মাঝপথে এখন ষান্মাসিক পরীক্ষার সময়। শিক্ষার্থীদের জন্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার আয়োজন করেছে বিভিন্নভাবে। কেউ অনলাইনে, কেউ ঘরে বসে পরীক্ষা দিয়ে কোর্স সমাপন করতে চলেছে।

ঘরে বসে পরীক্ষা। এখানে পাহারাদার হিসেবে শিক্ষক দাঁড়িয়ে নেই। নেই সিসিটিভি। নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে শিশু ও কিশোররা। বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি চলছে সততারও পরীক্ষা। পাহারা নেই কী হয়েছে, বিবেক তো রয়েছে। সেই স্বচ্ছ বিবেকই একজন শিক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বন থেকে বিরত রাখছে। গৃহ থেকেই সততার শিক্ষা নিচ্ছে তারা।

করোনার এই রুদ্ধ সময়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় যেন পিছিয়ে না পড়ে সেই লক্ষ্যে করোনাকালের প্রথম থেকেই অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে নগরীর সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। শুধু অনলাইনে পাঠদান নয় এখন অনলাইনে স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা এবং কলেজের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জুনিয়র ক্লাসে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে অনলাইন ব্যতীত ঘরে বসে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকদিন অনলাইনে ক্লাস করার পর এবার ভিন্ন আমেজে পরীক্ষা দিতে পেরে শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশি। এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী মো. মহিউদ্দীন মন্নান বলেন, অনলাইনে পাঠদান ও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য হলো আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে দূরে সরে না যায় এবং দীর্ঘসময় পড়াশোনার বাইরে থাকার ফলে মানসিকভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার না হয়। সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মতো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এমন কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও নিশ্চুপ রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী তা বলাই বাহুল্য। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মূল্যবান শিক্ষাজীবনকে বাঁচাতে পারে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন