সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ছোটদেশ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এমবিবিএস চিকিৎসক ডা. শামসুল ইসলাম চৌধুরীর দুই মেয়ে ফাতেমাতুজ জুহরা চাঁদনী ও সাদিয়া আফরিন তারিন। সদ্য ঘোষিত ৩৮ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে দুজনেই প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের এই সাফল্যে এলাকার লোকজনের মুখে মুখে চলছে তাদের সাফল্যের কাহিনী।

ফাতেমাতুজ জুহরা চাঁদনী ও সাদিয়া আফরিন তারিন দুই বোনই বন্ধুর মতো। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, একই হলের একই কক্ষে থেকেছেন। কাজ করেছেন একই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে। লেখাপড়াও করেছেন মিলেঝিলে। দুষ্টুমি আর খুঁনসুটিতে কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। এবার দুই বোন একসঙ্গে হলেন প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার। তারা দুজনই সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন।

ফাতেমাতুজ জোহরা চাঁদনী সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। স্কুল জীবন থেকে অত্যন্ত মেধাবী এই দুই বোন উচ্চ পর্যায়ে অধ্যয়নতরত থাকা অবস্থায় শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য বয়ে এনে কানাইঘাটবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেন। তাছাড়া তাদের ছোট বোন সামিয়া প্রীতিও বর্তমানে শাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত আছেন।

অন্যদিকে, সাদিয়া আফরিন তারিন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস স্টাডিতে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। তাদের দুইবোনের এই সাফল্যে এলাকার লোকজন আনন্দিত হয়েছেন। আবার অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এদিকে দুই মেয়ের বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের গর্বিত পিতা ডা. শামসুল ইসলাম চৌধুরী তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

পূর্বকোণ/এএ