চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাশিয়ার ছাত্রবান্ধব আইন পাস: নেপথ্যে এক বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:১৯ অপরাহ্ণ

এখন থেকে খন্ডকালীন চাকরির সুযোগ পাবেন রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এমন একটি আইন দেশটির সংসদে পাস হয়েছে। আইনটি পাসের পরে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এমন ছাত্রবান্ধব আইন পাসের কারণে দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশি। আর এই আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন এক বাংলাদেশি। নাম আলমগীর জলিল। তিনি অ্যালামনাই এন্ড ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন অব পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার ‘কাউন্সিল চেয়ারম্যান’। অন্যদিকে এ আইন পাসে উৎফুল্ল ভোরনেজের স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শুভ রহমান ও বাংলাদেশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাশিয়া সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই স্টেটে পড়াশুনা করে।

জানা যায়, শুভ রহমান রাশিয়াতে ভোরনেজের সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ১০ বছর যাবত দেখাশুনা করে আসছেন। এ প্রসঙ্গে আলমগীর জলিল জানান, আমি গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদায় বলছি না, আমি চিরকালই গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আছি’- এই শিরোনামে গেল বছরের ১৮ এপ্রিল একটি আলোচনা সভা হয়। আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে আমি সেখানে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মস্কো শহরের দুমার (পার্লামেন্ট) সাংসদ এবং রাশিয়ান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট প্লাটোনভ ভ্লাদিমির মিখাইলোভিচ্। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ান সরকারের বিজ্ঞান ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের উপ-পরিচালক ঝেলেজভ বরিস ভ্যালেরিয়েবিচ। ওই সভায় আলমগীর জলিল রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন কাজের সমস্যার কথা উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সবাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন।

অবশেষে প্রস্তাবটি সব ধাপ পার করেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে রাশিয়ান ফেডারেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ভ্যালেন্টিনা ম্যাটভিয়ানকো এবং রাশিয়ান পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়েচেসনাভ ভালোজিনের নেতৃত্বে একদল সাংসদ প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রস্তাবটি আইন আকারে গৃহীত হয়। এই আইনের মাধ্যমে এখন থেকে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত সকল বিদেশী শিক্ষার্থী খন্ডকালীন কাজের সুযোগ পাবেন। এই আইন পাসে অবদান রাখা প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশি আলমগীর জলিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন