চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শীত এসেছে, শীতার্তের পাশে দাঁড়াতে হবে

অধ্যাপক রতন কুমার তুরী

১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

সুদূর হিমালয় থেকে প্রচ- বেগে ধেয়ে আসছে মৌসুমি বায়ু। এতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। প্রকৃতপক্ষে বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন দেশের জলবায়ু নির্ঘটক পরিবর্তিত হয়ে গেছে তাই বাংলাদেশ ছয়টি ঋতুর দেশ হলেও এখন আর তেমন ঋতুগুলোকে দেখা যায় না। এখন শুধু বর্ষা এবং শীত ও গ্রীষ্ম ঋতুকেই সামান্য দেখতে পাওয়া যায়। এবছর জলবায়ুতে যেভাবে ঠা-া আবহাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বেশ কয়েকটা শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচ- ঠা-া আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে বিগত এক দশকে দেশে মানুষের জীবন যাত্রার মান কিছুটা বাড়লেও কিছু প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। এসব অসহায় প্রান্তিক মানুষ শীত মৌসুমে বেশ কষ্টে দিনযাপন করে। প্রচ- শীতে এরা দৈনিক কাজে যেতে পারে না ফলে আয়ের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে এসব মানুষেরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। অনেক সময় এদের সাথে তাদের নবজাতক শিশুরাও থাকে। এসব শিশুরা ঠা-ার প্রকোপ সহ্য করতে না পেরে অনেক সময় মৃত্যু মুখে পতিত হয়। এই শীতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও উচিত হবে শীতবস্ত্র এবং খাদ্যহীন প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

প্রকৃতপক্ষে প্রতিবছরই শীত আসে আবার চলেও যায় এক্ষেত্রে এসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার। এতে করে শীত আসার আগেই সরকারি সাহায্য প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারবে।

সরকারের বাইরে শীতের সময় আমরা অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখি। তারাও যদি একটি বৃহত্তর সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে এ থেকে আরো ভালো সুফল পাওয়া যাবে। আমরা যদি এই শীতে সবাই মিলে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াই তাহলে তাদের জীবন বাঁচবে। তবে তাদের সাহায্যের বিষয়টি আগে ভাগে পরিকল্পনা করে রাখলে সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যাবে। তাই আসুন যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এই শীতে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট