চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সড়কে নতুন আইন যেন অবৈধ আয়ের উৎস না হয়

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

নিরাপদ সড়ক করতে নতুন আইন অবশ্যই প্রশংসনীয়। সড়ক নিরাপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছরে ২৪ হাজার ৯৪৫ জন মানুষ মারা যায়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা ও শাস্তির ১০-৫০ গুন বাড়ানো হয়েছে। এখনো রাস্তায় বের হলে ড্রাইভাররা জানে না আইন লঙ্ঘন করলে কি কি জরিমানা ও শাস্তি। নিরাপদ সড়কের জন্য বাংলাদেশের সব জায়গায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অফিস আদালতে লিফলেট বিলিয়ে সচেতনতার ক্যাম্পিং করতে হবে। তারপর বাস টার্মিনালগুলোতে মাইকিং করে ড্রইভার ও পরিবহন মালিকদের অবগত করাতে হবে। শুধু বিশেষ সপ্তাহ কিংবা বিশেষ মাসব্যাপী মোবাইল টিম নয়; সারা বছর রাস্তায় মোবাইল টিম সব সময় যেন মজুদ থাকে। সড়কে অপ্রত্যাশিত মৃত্যু মানে পরিবার তার আপনজনকে হারায়। আর সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হওয়া মানে পরিবারের বোঝা হয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটানো।

সড়কে যারা স্বজন হারিয়েছেন কিংবা পঙ্গুত্ব জীবন অতিবাহিত করছে তারাই জানে সে ব্যথা। বিশৃংখলার মূল কারণ হচ্ছে চাঁদাবাজি। তাই সড়কে নতুন আইনের নামে যেন কোন দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজি না হয়। আইন যারা নিয়ন্ত্রণ করবে তারা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে করছে কিনা; তা তদারকি করার জন্য আলাদা একটি মনিটরিং টিম অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে নতুন আইনের কার্যকারিতা শুধু কাগজে লিপিবদ্ধ থাকবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হলে প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য সকলকে নিয়ম শৃঙ্খলা মানতে বাধ্য করা ও বিশেষ টিমের তদারকি অবশ্যই প্রয়োজন। সড়কে নতুন আইন যেন আয়ের উৎস না হয়।

শ্রীধর দত্ত
মেলঘর, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট