চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

কালো টাকার পথ রুদ্ধ করতে যা যা করা দরকার

চিকিৎসা শ্রমিকের দিনলিপি

ডা. হাসান শহীদুল আলম

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

১৫ কার্তিক। ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। পটিয়াস্থ চেম্বার। নি¤েœর সংবাদটির প্রতি সম্মানিত পাঠকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। : ‘পর্দার দাম ৩৭ লাখ, স্টেথোস্কোপ সোয়া লাখ টাকা – ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতি। ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হেডকার্ডিয়াক স্টেথোস্কোপের দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এরকম ৪টি স্টেথোস্কোপ আনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। এরকম ১১৬টি যন্ত্র ক্রয়ে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এগিয়ে চলো, ০৪-০৯-১৯)।” উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় যে অর্থ লোপাট করা হয় সেগুলো আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শন করা হয় না। এভাবে লোপাট করা অর্থ দ্বারা দেশে চোরাই অর্থনীতি বা কালো টাকা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের দেশে এমনি নানাবিধ পন্থায় চোরাই অর্থনীতি গঠিত হচ্ছে যার পরিমাণ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বরকতের মতে ৭ লাখ কোটি টাার মতো। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, এ টাকা দিয়ে ১৬টি পদ্মা সেতু তৈরী করা যায়। বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে এ টাকা সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুযায়ী বিনিয়োজিত করলে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীতে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো। আরো চিন্তার বিষয় হচ্ছে, চোরাই অর্থনীতির নানাবিধ ক্রিয়াকৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭০০০০ কোটি থেকে ১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতি না ঘটিয়ে আজকের লেখায় শুধূ চোরাই অর্থনীতি সম্পর্কে লিখছি। বিদেশে অর্থ পাচার সম্পর্কে পরবর্তীতে লেখার আশা রাখি।

চোরাই অর্থনীতি বা কালো টাকা কি?
চোরাই অর্থসম্পদকে সংবিধানে বলা হয় ‘অনুপার্জিত আয়’। আর চলতি কথায় ব লা হয় ‘কালো টাকা’। রং বা কালারের কারণে কোন টাকাকে সাদা বা কালো বলা হয়না। উপার্জনের প্রক্রিয়ার কারণে টাকাকে কালো বা অপ্রদর্শিত অর্থ বলা হয়।
চোরাই অর্থনীতি বা কালো টাকার প্রকারভেদ : অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা দুই প্রকারের : ১) বৈধ অর্জন কিন্তু আয়কর ফাঁকি দেবার জন্য আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত হয় নি ২) অবৈধ উপায়ে অর্জন বিধায় দেশে বিদ্যমান আইনী প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা করার জন্য আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত হয় নি।
চোরাই অর্থনীতি বা কালো টাকা গঠিত হবার কারণ : ক) দেশীয় : ১) কর ফাঁকি দেয়ার জন্যে বৈধ আয় গোপন করা ২) অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থকে দেশে বিদ্যমান আইনী প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা করার জন্যে গোপন করা।

খ) আন্তর্জাতিক : সারা বিশে^র কালো টাকা নিয়ন্ত্রিত হচেছ আন্তর্জাতিক মহাশক্তিধর অপরাধ সিন্ডিকেট সমূহ দ্বারা। প্রসঙ্গত : সংবাদচিত্রটি উল্লেখ করছি। “আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেট চালানো এবং পাকিস্তানের মাটিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগের জন্য ইতিমধ্যেই দাউদ ইব্রাহীমকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইত্তেফাক, ০৩-০৭-১৯)।” আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেট সমূহের নিয়ন্ত্রণে থাকে আঞ্চলিক অপরাধ সিন্ডিকেটসমূহ। আঞ্চলিক সিন্ডিকেটসমূহের নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে গড়ে উঠে কালো টাকার সিন্ডিকেট সমূহ। উক্ত দেশীয় সিন্ডিকেট সমূহের কাজ হচ্ছে কালো টাকা তৈরী করা। আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেটসমূহ মাদক, পর্ণো, কেসিনো, অস্ত্র, সন্ত্রাস, মানবপাচার ইত্যাদি অবৈধ ব্যবসায়ে টাকা খাটায় যেগুলোতে রাতারাতি মূলধন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা সমূহে সহযোগী হয়ে পড়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক এবং দেশীয় সিন্ডিকেটসমূহ। এদের নেটওয়ার্ক এতোই শক্তিশালী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন যে, কোন দেশে কয়েকদিনের মধ্যে হাজার কোটি টাকার ছড়িয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে বেসামাল করে দেয়া এদের কাছে সাধারণ ব্যাপার। এদের সীমাহীন পুঁজির যোগান আসে দেশীয় সিন্ডিকেট সমূহ থেকে। তাই বর্তমান বিশে^ কালো টাকাবিহীন কোন দেশ নেই।
চোরাই অর্থনীতি কিভাবে গঠিত হয়?

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সচেতন নাগরিকদের মতে বাংলাদেশে ২৮টি উৎস চোরাই অর্থনীতি গঠন করছে : ১) নিয়োগ, বদলি, বিলপ্রাপ্তি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘুষসহ নানাবিধ দুর্নীতি ২) লিজ ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে সাধারণ সম্পত্তিসহ বিভিন্ন জমি, জলা-সম্পত্তি দখল ও লুট ৩) অস্ত্র উৎপাদন, আমদানী ও ক্রয় বিক্রয় ৪) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ লোকসান বা সিস্টেম লস নামে আত্মসাৎ করা এবং পুনরায় বেসরকারীকরণের নামে এসব সম্পদ দখল, লুণ্ঠন এবং তার কমিশন লাভ ৫) ব্যাংক থেকে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের নামে বিপুল অংকের ঋণ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি ৬) আমদানী-রফতানী জালিয়াতি ৭) রপ্তানীমুখী খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকী ও আমদানী-রপ্তানী সুবিধা আত্মসাৎ করার জন্যে গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন ধরনের ভুয়া কারখানা প্রদর্শন ৮) অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক কিংবা বিপর্যয় সৃষ্টিকারী আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করে বা তেল গ্যাস-বিদ্যুৎ কোম্পানীসহ বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানী থেকে উচ্চ কমিশন লাভ ৯) বরাদ্দ আত্মসাৎ ও কমিশন লাভের জন্য বিদেশী সাহায্যযুক্ত ভুল, ক্ষতিকর ও উচ্চ ব্যয় প্রদর্শিত প্রকল্প তৈরী ও পাশ করা ১০) সামরিক-বেসামরিক, সরকারী-আধাসরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার ক্রয়-বিক্রয় ও নির্মাণ থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও কমিশন ১১) বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস-বিল ও বড় আকারের রাজস্ব ফাঁকি ১২) দরপত্র দখল নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা ১৩) মাদকদ্রব্যের আমদানী-বিতরণ ও বাণিজ্য ১৪) বিদেশে চাকুরী প্রদানের নামে ‘আদম ব্যবসা’ শিশু ও নারী পাচার ১৫) পতিতাবৃত্তি, পর্নোগ্রাফিসহ যৌন বাণিজ্য তৈরী ও নিয়ন্ত্রণ ১৬) ছিনতাই, ডাকাতি ১৭) হুন্ডি ব্যবসা ১৮) শিশুখাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ভেজাল ও নকল ১৯) খুন, মাস্তানি ও নানা অপরাধের পেশাদার তৎপরতা ২০) পুলিশ ও নিয়োজিত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিবহন, ক্ষুদে ব্যবসা, নির্মাণ থেকে নিয়মিত টোল বা চাঁদা আদায় ২১) উন্নয়ন বরাদ্দ, কাজের বিনিমিয়ে খাদ্য, দুঃস্থ মাতা কর্মসূচি, ত্রাণ তহবিল ইত্যাদি আত্মসাৎ ২২) চোরাচালান ২৩) রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থচুরি যেমন, সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেংকারী ২৪) শেয়ার কেলেংকারী ২৫) ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ২৬) রিজার্ভ চুরি যেমন, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়েছে ২৭) পণ্য জাহাজীকরণের কাগজ জাল করে এলসিকৃত পণ্যের পুরো টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাচার করা ২৮) কেসিনো-র মাধ্যমে অর্থ পাচার।
কারা চোরাই অর্থনীতি গঠণ করছে ?

চোরাই অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে অব্যবসায়ী এমন কিছু মানুষ যারা অবৈধ পন্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। বাজার ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্বে নানা পোশাকের দৃশ্যমান বা অদৃশ্য খাজনাদার দ্বারা সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে। এ সমস্ত সিন্ডিকেটে রয়েছে ছোট পুলিশ, বড় পুলিশ, ছোট আমলা, বড় আমলা, ইয়াবা বিক্রেতার গোপন অংশীদার ও গডফাদার, মাস্তান উৎপাদক ও সংরক্ষক, রাজনীতিবিদ, এমপি, মন্ত্রী, ভিআইপি, এমনকি ভিভিআইপি পর্যন্ত।

চোরাই অর্থনীতি গঠিত হবার সুযোগ কিভাবে হয় ?
১) দেশে সুশাসনের অভাব হলে ২) রাষ্ট্রযন্ত্রে অব্যবস্থাপনা ও দুনীতি ৩) চোরাই অর্থনীতির সাথে সরকারের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা।
চোরাই অর্থনীতির পরিমাণ : ক) ‘বাংলাদেশ’ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি তাঁর গবেষণায় উল্লেখ করেছেন দেশে অপ্রদর্শিত কালো টাকার পরিমাণ ৭ লাখ কোটি টাকার উপরে (জনকণ্ঠ, ২৬-৬-১৯)।’ খ) ২০১১ সালে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রাণলয় কালো টাকা নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে বলা হয় বাংলাদেশে ২০১০ সালে কালো টাকার পরিমাণ ছিলো জিডিপি-এর ৬২.৭৫ শতাংশ।
চোরাই অর্থনীতি সমাজে কি প্রভাব রাখছে? ক)পরগাছা ধরনের বিত্তবান বাড়ায় : বিপুল কালো টাকার আশ্রয়ে জন্ম নেয়া পরগাছা ধরনের বিত্তবান শ্রেণীসমূহের লাগামহীন ভোগবিলাস চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তৈরী হচ্ছে বিনোদন শিল্প, ক্যাসিনো, সুপার মার্কেট, বহুতল ভবন ইত্যাদি অনুৎপাদনশীল খাত সমূহ খ) চোরাই ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়ায় : এরা যেহেতু ব্যবসায়ী নয় তাই ব্যবসায়ে অর্থ না খাটিয়ে কোটি টাকার গাড়ী ক্রয়ে অথবা প্রাসাদোপম অট্টালিকা নির্মাণে অর্থ ব্যয় করছে।
পুনরায় কালো টাকা চোরাই ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছে গ) ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হওয়া : এ বিপুল কালো টাকা ডলারে রূপান্তরিত করে বিদেশে পাঠানোর হুজুগ চলছে বিধায় ডলারের উপর চাপ বাড়ছে। এতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। আমদানী খরচ বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। ঘ) দ্রব্যমূল্য বাড়ে : চোরাই সিন্ডিকেট সমূহের অপতৎপরতার কারণে আমদানী ব্যয়, পরিবহন ব্যয়, উৎপাদন ব্যয়, ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় সব মিলিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার ফলে জনগণের প্রকৃত আয় কমছে। মধ্যবিত্তরা নি¤œবিত্ত এবং নি¤œবিত্তরা আরো দরিদ্র হয়ে পড়ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূলের সংখ্যা বেড়ে চলে ঙ) সরকার কর্তৃক রাজস্ব হারানো।

কালো টাকা সাদা করা বলতে কি বুঝায়?
নির্দিষ্ট পরিমাণ কর জরিমানাসহ প্রদান সাপেক্ষে অর্থনীতির মূল্য ধারায় কালো টাকাকে সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টাকে কালো টাকা সাদা করা বলা হয়।
সরকারের করণীয় : ক) কালো টাকা সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয় প্রকারের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে খ) কালো টাকার পরিমাণসহ বাহকদের চিহ্নিত করতে হবে যাতে অর্থনীতির অনুকূলে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া যায় গ) কালো টাকার উৎসগুলোকে বন্ধ করতে হবে ঘ) কালো টাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সাবেক চেয়ারম্যান এর মতে, যতোদিন পর্যন্ত আমরা কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়ের উৎসমুখ বন্ধ করতে না পারবো, ততোদিন কালো টাকা সৃষ্টি হতেই থাকবে। তাই প্রথমে উদ্যোগ নিতে হবে কালো টাকা সৃষ্টির পথগুলো বন্ধ করতে। এটি সম্ভব না হলে নির্ধারিত পরিমাণ ট্যাক্স প্রদান সাপেক্ষে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।
স্থানীয়ভাবে কালো টাকা ব্যবহারের সুযোগ দেয়া না হলে টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাবে। এতে দেশ আরো বেশীমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপসংহার : এ পর্যন্ত যেটুকু আলোচনা হলো তার সারমর্ম হিসেবে উপসংহারে বলতে চাই যে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চোরাই অর্থনীতি গঠনের সিন্ডিকেট গঠিত হবার পথ বন্ধ করে দিতে হবে এবং কালো টাকাকে শর্ত সাপেক্ষে দেশে বিনিয়োজিত হবার সুযোগ দিয়ে আপাতত পাচারকৃত হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।

ডা. হাসান শহীদুল আলম চর্মরোগ ও ডায়াবেটিস-এ ¯œাতকোত্তর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট