চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রাণের ভাষায় মনের কথা

স্বার্থ ও পেশাদারিত্ব

শারুদ নিজাম

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

কোন পেশায় আজকাল শতভাগ দরদী মানুষ নেই। দরদী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। নেই আন্তরিক সহমর্মিতা। ডাক্তারখানায় গেলেন দশ মিনিট না যেতেই ডা. সাহেব সালাম দিতে থাকে। একটার পর একটা। উকিল পাড়ায় গেলেন, শুনবে কি আপনার কথা! নিজের ফিরিস্তি শুনিয়ে মুহুরিকে লেলিয়ে দেবে। আবার জুনিয়রদের ফিও চেয়ে নিবে। সরকারী কর্মকর্তাদের তো খুব সুন্দর আয়োজন। এইমাত্র ঘুষ কর্ম সেরে উঠে বলে, ভাইজান সময় থাকলে একটু বসেন, আমি নামাজটা পড়ে আসি! তারপর আপনার কাজটা ধরবো। কি চমৎকার সমন্বয়! কোচিং, টিচিং-এ ব্যাচ শেষ না-হওয়ার আগেই মেজবানের মতো অন্য ব্যাচ গায়ের উপর দাড়িয়ে আছে। ব্যবসায়ীরা যেন এক পণ্য-এককে সব লাভ গুণে নিবে। এক লাফেই কোটিপতি হবে। বাড়ীওয়ালা নতুন ভাড়াটিয়ার খোঁজ করে ভাড়া বাড়ানোর ধান্দায়। বাস ড্রাইভার সর্বদা প্যাসেন্জার নামায় রাস্তায় গাড়ীটা কোনাকুনি রেখে। পম্পি বাবুরা যত্রতত্র মোটর সাইকেলের রেস করে মরে রাস্তার মাঝখানে মস্তকবিহীন অবস্থায়। সেবকেরা আজকাল সেবা করে ইয়াবা-বাবার সরবরাহের প্রত্যয়ে। যারা অতন্দ্র প্রহরী ? তারা আশপাশের সব কর্ম নিজেরাই করে। সব খানেই যদি ওরা নিয়ে বসে কন্ট্রাক্টরি। রক্ষণ কাজে তবে কারা? মসজিদগুলোর অনেক খতিব-ইমাম হজ্ব-ওমরাহর সেবায় ব্যস্থ।

জেলখানায় যাবেন সেখানেও ক্ষমতাবানদের দৌরাত্ম্য। আর জেলের বাইরে ক্ষমতবানদের লড়াই। মা রে মা যাই কোথায়? সবখানে শুধু আমি অমুক, তমুক আমার নেতা! এমন ভাব তামাম এলাকার সব ভোট যেন তাঁহার জিম্মায়। যেদিকে যাই, শুধুই হাম হাম ভাব। সব যেন তাঁহার জন্য বরাদ্দ। আজই সব সাবাড় না করলে ভোরের আগেই আবার কেয়ামত যেন ঘনিয়ে না আসে। চারিদিকে ছেঁয়ে ধরেছে অস্থিরতা। অস্থির সব চারপাশের চামচার দল। না পারে আজকে জন্ম নেয়া শিশুটিকে একসাথে চার-পাঁচটা সার্টিফিকেট গুলে খাইয়ে দেয়। লেগেছে জ্যাম-জট ধেয়ে আসা সব কিছুতে। কে যাবে কার আগে। তাই বুঝি আর চলেনা। থেমে গেছে সব। শুরুর প্রাক্কালে যেমন ছিল!

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট