চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নৈতিকশিক্ষা শুরু হোক শৈশব থেকেই

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ১:৫১ পূর্বাহ্ণ

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করতে হলে তাকে মেনে চলতে হয় নানা রকমের নিয়ম-কানুন। এসব যদি বাল্যকাল থেকে সঠিকভাবে শিক্ষা দেওয়া না হয় তবে পরিণত বয়সে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
শিক্ষা হলো মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। শিক্ষার তিনটি দিক রয়েছে। মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধ ও আদর্শিক মূল্যবোধ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আদর্শিক বা নৈতিক শিক্ষার সংমিশ্রণ না ঘটলে একজন মানুষ কখনও আদর্শ মানুষে রূপান্তরিত হতে পারে না। শৈশবকে কাঁদামাটির সাথে তুলনা করা হয়। কাঁদামাটিকে যেমন ইচ্ছেমত রূপ দান করা সম্ভব হয়, ঠিক তেমনই একজন শিশু শৈশবের শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই বেড়ে উঠে। পরিবারের সদস্যদের সাথে শিশুর বেশি ঘনিষ্ঠতা থাকে। ফলে স্বভাবতই পরিবারের সদস্যদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা গভীরভাবে অনুধাবন করে, যা প্রতিফলিত পরিণত বয়সে। শিশুকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার দীক্ষা দেওয়া না হয়, তবে সে পরিণত বয়সে নানারকম অপকর্মের সাথে জড়িয়ে যাবে। যার বাস্তব প্রমাণ, আমরা সমাজে দেখতে পাই। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে অনেক শিক্ষিত সন্তানের পিতামাতার বৃদ্ধাশ্রমে ঠিকানা হয়, অনৈতিক কর্মকা-ের ফলে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটছে ভুরিভুরি। নৈতিকতার শিক্ষা না পেলে একজন মানুষের বিবেক জাগ্রত হয় না। আর তা না হলে পশু আর ব্যক্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। ফলে তার দ্বারা যেকোনো অন্যায় করা সম্ভব। তাই প্রতিটি শিশু যেন প্রাতিষ্ঠানিক ও নৈতিক শিক্ষার সংমিশ্রণে বেড়ে উঠে, সে দিকে সচেতন হওয়া উচিত।

জান্নাতুত তাজরী
শিক্ষার্থী, ফোকলোর বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট