চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বই পড়ার অভ্যাস

১ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

বই পড়ার অভ্যাস সব অভ্যাসের মধ্যে ভাল একটি অভ্যাস। বই পড়া ছাড়া জ্ঞানার্জন কঠিন। বই পড়তে হবে জ্ঞানীদের। বড় মাপের লেখক, গবেষক, কলামিস্টদের। জ্ঞানে গুণে যারা আদর্শিক তদের লেখা বই পড়লে পাঠক জ্ঞানার্জন করতে পারবে। চরিত্র আদর্শে নীতি নৈতিকতা অর্জন করতে হবে। ভালো মানের লেখা বই পাঠককে অনেক জ্ঞান দান করতে পারে। বই পাঠককে জ্ঞানার্জনের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। পৃথিবীর শুরু থেকে পাঠ করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.) কে সর্বপ্রথম যে বাণী হযরত জিব্রাঈল (আ.) এর মাধ্যমে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল সেটা ছিল “পাঠ কর তোমার প্রভুর নামে” এখানে পাঠ করার কথা প্রথমে বলা হয়েছে। তোমার প্রভুর নামে পাঠ কর। পাঠ না করলে আল্লাহ, রাসূল, নবী, সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে জানা যাবে না। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবজাতি ফেরেস্তা, জীনজাতি, আকাশ, বাতাস, পানি ,নদী, সাগর, পাহাড়, পর্বত সম্পর্কে জানা যাবে না। গোটা পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে হলে রহস্যের যাবতীয় পাঠক্রম পাঠককে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার মাধ্যমে আন্তরিকতা দিয়ে পড়তে হবে।

দুনিয়ার শুরু থেকে পাঠ করার জন্য নবী রাসুলদের নিকট সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ আছে। নির্দেশ মতে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাদীস অধ্যায়ন ও পাঠ করলে সৃষ্টি সম্পর্কে জানা ও বুঝা যাবে। পাঠের অভ্যাস অনুশীলণ সে দেড় হাজার বছর আগ থেকেই চলে আসছে। পাঠ করার এ অভ্যাস দিয়ে মানুষ পৃথিবী জয় করেছে ও করেছে। নবী রাসূল সৃষ্টিকর্তাকে বুঝতে ও জানতে পেরেছে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত হয়েছে। আদেশ নিষেধ পালন করেছে। পাঠের অনুশীলন চর্চার মাধ্যমে জ্ঞানী গুণীর জন্ম হবে, সমাজ রাষ্ট্র আলোকিত হবে। সমাজকে যারাই আলোকিত করতে পেরেছে তারাই ছিল একনিষ্ঠ পাঠক ও গবেষক। তাদের পাঠ চর্চা ও অনুশীলন কার্যক্রম পৃথিবীকে এখনো এগিয়ে দিচ্ছে। জ্ঞানী গুণী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, পৃথিবীর মানুষ ও সৃষ্টিজগতের রহস্য উন্মোচন করছে। তাদের নানা গবেষণা চিন্তা প্রকাশ করার মাধ্যমে পৃথিবী এগিয়ে চলছে। দুনিয়া যতদিন থাকবে গবেষণা লেখা, প্রবন্ধ, বই সাহিত্য ততদিন থাকবে। পাঠচর্চা, অনুশীলন কার্যক্রম থাকবে। একটা শ্রেণী লেখবে, আর একটা শ্রেনী পড়বে চর্চা আর অনুশীলনে থাকবে পৃথিবী। পাঠের মাধমে পৃথিবীর মানুষ নতুন নতুন বস্তু আবিষ্কার করবে। পৃথিবীকে সুন্দর শৃংখল আদর্শিকভাবে গড়তে হলে পাঠাভ্যাস থাকতে হবে।

সমাজে পাঠ চর্চা বৃদ্ধি অনুশীলন না হলে মেধা, যোগ্যতা সম্পন্ন জাতি তৈরী হবে না। মেধায় নীতি নৈতিকতা আদর্শে জাতি তৈরী করতে হলে বই পড়তে হবে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় থানায় জেলায় বেশী করে লাইব্রেরী গড়ে তোলার উদ্যোগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের শিক্ষিত মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। বই পড়ার সংস্কৃতি বেগবান করতে হবে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের আরো এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অভিভাবক সমাজ নেতাদের সহযোগিতা থাকতে হবে। সরকারী বেসরকারী চেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে। সমাজের অন্যান্য আদর্শিক কর্মসূচির সাথে বই পড়ার কর্মসূচিকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে।

মাহমুদুল হক আনসারী
চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট