চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

মুুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পিত লড়াইয়ের স্বরূপ

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

নাওজিশ মাহমুদ

১ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রথমে ৯টি পরে ১১টি প্রশাসিনক অঞ্চল বা জোন গঠন করে প্রবাসী সরকারের কাজকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়। প্রতিটি জোনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান নির্বাচিত এমপি বা এমএনএ। সদস্যসচিব হন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের একজন কর্মকর্তা। জোনের অধীনে শরণার্থীশিবির, যুবকদের নিয়ে ইউথ ক্যাম্প বা যুবশিবির পরিচালিত হয় বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত প্রশাসকদের দ্বারা। এই প্রশাসকেরা ছিলেন অধিকাংশ এমপি বা এমএনএ। মহিলাদের নিয়ে পৃথক যুবশিবির এবং মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পৃথক প্রশিক্ষণকেন্দ্রও গড়ে উঠে। যুব শিবিরের বাইরে বাম সংগঠনগুলির কিছু কিছু ক্যাম্প গড়ে উঠে। ন্যাপ ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ক্যাম্প এবং কাজী জাফর-মেনন ও দেবেন শিকাদরের অনুসারীদের ক্যাম্প উল্লেখযোগ্য। পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরার বাম সংগঠনগুলি এই ক্যাম্পগুলিতে সহায়তা করতো। শেষ দিকে তাঁদের প্রশিক্ষণ ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ হয়ে উঠে। আদিবাসী ও সংখ্যালঘু জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

এই যুদ্ধে সর্বাধিক সহযোগিতা পাওয়া যায় পশ্চিম বঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার জনগণের কাছ থেকে। বাঙালি শরণার্থীদের প্রতি তাঁদের সহানুভূতি এবং সাহায্য সহযোগিতা কোনটায় কমতি ছিল না। সেই সাথে ক্ষমতাসীন কংগ্রসে পশ্চিম বঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার কংগ্রস ও বিরোধীদল সিপিআইএম, সিপিআই ও অন্যান্য বামদের সাহায্য সহযোগিতাও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে। বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি ও যুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য হরতাল পর্যন্ত পালিত হয়। যারা শরাণার্থী শিবিরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না বা ব্রিবতবোধ করেতেন তাঁদের অনেককে পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের নাগরিকেরা স্বেচ্ছায় আশ্রয় দিয়েছেন।
খাদ্য এবং বাসাবাড়ি ভাগাভাগি করেছেন। এটাই ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সহমর্মিতার বড় উদাহরণ। যদিও ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলা থেকে স্থানাস্তরিত হিন্দুদের একটি অংশ এবং মুসলমানদের একটি অংশ এই মুক্তিযুদ্ধকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। হিন্দুরা পারেনি তাঁদের সাথে পূর্ব আচরণের স্মৃতি থেকে, যে কারণে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। আর মুসলমানেরা বিরোধীতা করেছেন পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি থেকে। তবে এই বিরূপ মনোভাব একটি ক্ষুদ্র অংশের থাকাও সত্ত্বেও অধিকাংশ জনগণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সহযোগিতা এবং সহানুভূতির হাত। পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা ও আসামের জনগণের আন্তরিক সমর্থন মুক্তিযুদ্ধকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা।
পাকিস্তান ও চিনের সাথে ভারতের বৈরী সম্পর্ক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশ^পরিসরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েতের ভূমিকা বড় নিয়ামক। যেহেতু, সাধারণত ভারত ও পাকিস্তান দ্বন্দ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের পক্ষে অবস্থান নেয়। আবার তিব্বত প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের ইস্যুভিত্তিক ঐক্য সোভিয়েত ও ভারতের সম্পর্ক একটি জটিলাবস্থা বিরাজ করছিল। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতাও ছিল দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে। তার উপর আওয়ামী লীগের অতীত রাজনীতি ছিল সোভিয়েতবিরোধী এবং মাকির্নপন্থী। সোহরাওয়ার্দীর আদর্শে গড়ে উঠা রাজনীতি ছিল কট্টর কমিউনিস্টবিরোধী। আওয়ামী লীগের মার্কিনপ্রীতির কারণেই ন্যাপের সৃষ্টি হয়। এই ন্যাপ আবার চীন রাশিয়ার দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ যখন ৬ দফার আন্দোলন শুরু করে, ন্যাপ একে আমেরিকার মদদপুষ্ট ও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখেছিল। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে মধ্য দিয়ে ন্যাপ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে উন্নত হলেও আওয়ামী লীগের প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল নেতিবাচক। যুদ্ধকালীন সরকারে বামঘেঁষা তাজউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী হলেও সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগ ছিল বামবিরোধী সংগঠন। নিউক্লিয়াস ও সিরাজুল আলম খানের অনুসারিরা সমাজতন্ত্রের কথা বললেও সোভিয়েতকে আশ^স্থ করার মতো ছিল না। বরঞ্চ বাম রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত মনে করা হতো। বিশে^র নিপীড়িত জনগণ ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে পক্ষে সোভিয়েতের সমর্থন থাকলেও মার্কিনপন্থী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে আস্থায় নিতে দ্বিধায় ছিল। পাকিস্তানের মাধ্যমে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সম্পর্ক ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে দ্রুত কাছাকাছি নিয়ে আসে। সোভিয়েত ও ভারতের মৈত্রীচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে চলে যায়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েতের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মার্কিন সপ্তম নৌবহর যখন বঙ্গোপাসাগরের দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাহায্যার্থে রওনা দেয়, তখন পূর্ব উপকূল থেকে আগত সোভিয়েতের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনসমূহ মার্কিন নোৗবহর আশেপাশে অবস্থান নেয়। তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ হওয়া সত্ত্বেও সোভিয়েত ইউনিয়েন জাতিসংঘে ভেটো দিয়ে যেমন মার্কিনিদের সকল অপতৎপরতা থামিয়ে দিয়েছিল, তেমনি চিন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করে পাকিস্তান ও ভারতের লড়াইয়ে চিনকে নিষ্ক্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছিল।
পাকিস্তানের বিভিন্ন দূতাবাসে বাঙালি কূটনীতিবিদদের ভূমিকা বিশ^জনমত এবং বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। বিশেষ করে কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনার হোসেন আলী বাংলাদেশ প্রবাসী সরকারের প্রতি আনুগত্য যুদ্ধকে বেগবান করেছিল। বিশ^^জনমতে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল প্রবাসী বাঙালিরা। বিশেষ করে ইংলন্ড ও আমেরিকার বাঙালিসমাজ সভা, মিটিং-মিছিল, অর্থ সংগহ করে বিশ^জনমতকে প্রভাবান্বিত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছিল। ব্রটিশ সরকার এবং আমেরিকান সরকারকে চাপে রেখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করেছিল। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশও দেশে-বিদেশে দূতিয়ালির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদান রেখেছে। প্রতিরোধযুদ্ধ থেকে বিজয় পর্যন্ত অনন্য ভূমিকা রাখে আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল এবং অনুপ্রেরণার উৎস ছিল এই বেতারকেন্দ্র। সেই সাথে শরাণার্থী শিবির এবং রনাঙ্গণে গিয়ে গান গেয়ে উজ্জ্বীবিত করেছিল আমাদের শিল্পীরা।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ধীরে ধীরে সাফল্য পাচ্ছিল, তখন পাকিস্তান সরকার ভারতকে যুদ্ধে টেনে আনে। উদ্দেশ্য ছিল বৃহৎ শক্তির প্রভাবে জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে লজ্জাজনক পরাজয় থেকে নিজেদের রক্ষা করা। মার্কিন ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা। ভারত চেয়েছিল ভারতের সরাসরি অংশগ্রহণে যুদ্ধের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পতন হলে সমস্ত কৃতিত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে চলে যাবে। ফলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে ঘিরে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখনই বুঝলো বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে না, তখনই ভারতে বোমা বর্ষণ করে যুদ্ধের সূচনা করে। জাতিসংঘ অধিকাংশ দেশের সমর্থনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের আহ্বানকে ভেটো দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের অপচেষ্টাকে রোধ করে।

যুদ্ধ করার জন্য পুর্বাঞ্চলে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ড গঠিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওসমানী লে. জেনারেল অরোরা থেকে সিনিয়র হলেও তিনি মন্ত্রীপর্যায়ের একজন সেনাপতি হিসেবে অরোরার অধীনে কখনও কমান্ডে থাকতে পারেন না। আবার ওসমানীকে কমান্ড দেয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনি সেনাবাহিনী থেকে কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনতিকযুদ্ধ হলেও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত একটি সেনাবাহিনী গড়ে তোলা হয়। সেক্টর কমান্ডারগণ এতো বেশী জুনিয়র ছিলো যাদের পক্ষে অরোরার সমপর্য়ায়ের কমান্ডে অংশ নেয়া সম্ভব ছিল না। যদিও বাঙালি সেনারা অসীম সাহসের সাথে য্দ্ধু করে কিন্তু মুল যুদ্ধের পরিকল্পনা থেকে লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সবকিছু ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরশীল। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকলেও ভারতীয় সেনাদের অধীনেই যুদ্ধ করতে হয়েছে। এই জটিলতার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়াতে ওসমানী এবং অরোরার পক্ষে সমন্বিতভাবে কোন যুদ্ধপরিকল্পনা করা সম্ভব হয়নি। ওসমানী যৌথ কমান্ডে উপেক্ষিত থেকে যান। পাকিস্তানে আত্মসমর্পণে রাজী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কষ্টে বাঙালি কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণে রাজী করালেও, পাকিস্তানিদের সম্মত করালেও ওসমানী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অস্বীকার করেন। তিনি সিলেট রণাঙ্গণ সফরে চলে যান। একটি গৌরবজনক সম্মান থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়। এই ধারণা অপপ্রচার না সঠিক তা কোন দিন তদন্ত বা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা গবেষণামূলক তথ্য পাওয়া যায় নি।
তিব্বতের জন্য গড়া স্পেশাল সিকিউরটি ফোর্সকে রাজি করিয়ে ভারত সরকার জেনারেল ওবানের নেতৃত্বে যুদ্ধে নামায়। মিজোরামের দেমাগরি দিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। শেখ মনির নেতৃত্বে বিএলএফএর বিরাট অংশ অভিযানের সহযোগিতা করে এবং পথ দেখায়।
ভারত সরকার এই ফোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার পাশাপাশি মিজোরামের বিদ্রোহকেও দমন করে। চট্টগ্রাম পতনের এক সপ্তাহ আগে এই ফোর্স দ্রুত রাঙামাটি পৌছে যায়। জেনারেল ওবান অরোরা বাহিনীর পূর্বেই চট্টগ্রাম প্রবেশ করতে বার বার চাপ দিয়েছিলেন কিন্তু মানেক শ তাকে অনুমতি দেননি। জনশ্রুতি আছে শেখ মনি চট্টগ্রামে পূর্বে পৌঁছে যেতে পারলে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে চ্যালেঞ্জ জানাবার সুযোগ পেয়ে যেতেন। চট্টগ্রাম কবজা করে দরকষাকষির হয়তো একটি সুযোগ নিতেন। ইন্দিরা গান্ধী এবং মানেক শ হয়তো চাননি যৌথ বাহিনীর বিজয়ের মুহূর্তে কোন দ্বিধাাবিভক্তি। মানেক শ চাননি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কর্তত্বাধীন অরোরার বাহিরে কেউ সুযোগ বা কৃতিত্বের ভাগিদার হোক ।
তবু বাংলাদেশের পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপ-চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার এবং কাদেরীয়া বাহিনী প্রধান কাদের সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাপতি জেনারেল নিয়াজি যৌথ কমান্ডের প্রধান জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দখলমুক্ত হয়। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। (সমাপ্ত)

নাওজিশ মাহমুদ রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট