চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দৈনিক পূর্বকোণের পঁয়ত্রিশতম জন্মদিনে শুভেচ্ছা গণমাধ্যম : সুশাসন প্রতিষ্ঠার রণপা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক পূর্বকোণের পঁয়ত্রিশতম বছরে পদার্পণের শুভক্ষণে পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক, পরিচালনা সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকল কলাকুশলী, সাংবাদিক, প্রতিবেদক এবং অগণিত পাঠকদের প্রতি অকৃত্রিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চট্টলদরদী কৃতীমানব, সৃজন ও মননশীল সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রয়াত ইউসুফ চৌধুরীকে। পত্রিকার প্রকাশনা, প্রচার-প্রসারে বিধেয় কর্তুকাম সম্পন্নে এই মহান ব্যক্তির নিরলস পরিশ্রম, মেধা-প্রজ্ঞার সমীকরণ বীর চট্টলাকে শুধু দেশে নয়Ñ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টলার প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য-কৃষ্টি, বাণিজ্য-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিনোদন ইত্যাদির অবারিত জানালা উন্মুক্তকরণে অনবদ্য ভূমিকায় মর্যাদাসীন করেছে। চট্টলা হয়েছে গৌরবদীপ্ত, তেজস্বী ও সর্বত্র জ্যোতির্ময়। এই পত্রিকার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের সুবন্ত উপাদানসমূহ অধিকতর সুবিন্যস্ত, শাশ^ত, পাঠকনন্দিত হোকÑ এই প্রত্যাশায় স্বল্পপরিসরে আজকের নিবন্ধের শমিত উপস্থাপন।

এটি সর্বজনবিদিত যে, বৈশ্বিক, জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়ন-অনুন্নয়ন পর্যালোচনায় গণমাধ্যম সংস্কৃতির অভীষ্টতম অনুষঙ্গ হিসেবে সর্বত্রই বশবর্তিতা। গণমাধ্যমের নবতর বিকাশ, বিস্তার, বিতরণ, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন তথ্যবিপ্লবের যুগসন্ধিক্ষণে বিশেষ বৈশিষ্ট্যম-িত। লুম্পেন বিশ্বায়নের মোড়কে বৈশ্বিক সংস্কৃতির কাঠামো, প্রযুক্তি, বিনোদন, মুদ্রিত উপাদান, সাহিত্য, চিত্রকলা, বেতার, টেলিভিশনসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি চলমান সভ্যতার বশীভূত সংযোজন। সংস্কৃতির বস্তু ও অবস্তুগত প্রবাহের জটিল মিথস্ক্রিয়ায় সততা-নৈতিকতা-সত্যবাদিতা-শুদ্ধাচার আপেক্ষিক পরিশুদ্ধ সমাজে প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত। সুনিপুণ পরিকল্পনায় একদিকে নির্মিত হয়েছে আগ্রাসনবৃত্ত। অন্যদিকে, পর্যুদস্ত ঐতিহ্য-কৃষ্টির ভৈরবী। বৃহত্তর সমাজের বৈষম্যের বিভাজিত যুগপৎ সংকট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদকেই পক্ষান্তরে উন্মোচিত করেছে নির্ভরশীলতার নতুন কদর্য দিগন্ত।

সুশাসন বা সততা-স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার যৌগিক গতিময়তা বৃহত্তর পরিসরে একধরনের নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যাহ্নিক বলয় অতিক্রম করছে। সৎ-যোগ্য-মেধাবী-প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন যেন সমাজে অবমূল্যায়নের তলানিতে এসে ঠেকেছে। বড়ই ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত আলোকময় এই জগৎ। পরিবর্তিত এহেন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ-সত্যনিষ্ঠতা চর্চার বিশ্লেষণ অতীব প্রয়োজন। সত্যমানস, জ্ঞান ঐশ্বর্যের প্রবুদ্ধ ধারক-বাহক এখনো বৈদগ্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে উপলব্ধি করতে চায়Ñ গণমাধ্যম সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠ ব্রতী হয়ে প্রবর্তমান অনুন্নয়নের উন্নয়ন নয়; বরং গণউন্নয়নের উন্নয়ন সংস্কৃতিকে জাগরিত রাখবে। গণবিচ্যুত গণমাধ্যম অপসংস্কৃতির নষ্টধারাকে বিশ্বময়তাদানে উন্নয়নশীল বিশ্বকে কতটুকু নির্মমভাবে প্রভাবিত ও দুর্বৃত্তায়নের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পরাঙ্গম, সচেতন বিশ্বজনিন মানবতাবাদি বিবেকবান মানুষের বোধে তা অত্যন্ত সুষ্পষ্ট।

প্রসঙ্গত মহাত্মা গান্ধীর অমিয় মন্তব্য উল্লেখ করতে চাইÑ ‘আমি আমার ঘরটিকে চারদিকে প্রাচীর বেষ্টিত ও আমার জানালাগুলি বন্ধ রাখতে চাই না। আমি চাই সকল দেশের সংস্কৃতি আমার ঘরের চারপাশে যত ইচ্ছা স্বাধীনভাবে এসে ভিড় করুক। কিন্তু তার কোনটি আমাকে স্থানচ্যুত করবে সেটা আমি হতে দেব না।’ প্রতিদিনকার অভিজ্ঞতা, ভাবাদর্শ, মূল্যবোধ, জ্ঞান আহরণ-বিতরণ ও সৃজনের প্রতীকি প্রকৃতি-প্রবাহ এবং পরিকর্ষ মানদন্ডে এর প্রায়োগিক বিনিময় আজকের দিনে গান্ধীজীর অমূল্য মন্তব্য কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ তা বিবেচনার দাবি রাখে। বস্তুতপক্ষে গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ, স্যাটেলাইট সংস্করণ, ফেসবুক, ইন্টারনেট ইত্যকার ক্রমবর্ধমান উপকরণসমূহ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে কতটুকু জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেÑ তা নিয়ে সমুদিত সংশয় অত্যধিক প্রবল।

সাম্প্রতিক সময়ে অতিস্বল্পসংখ্যক গণমাধ্যম এবং গুটিকয়েক ব্যক্তি সাংবাদিক অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত থেকে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চরিত্রহনন, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নানাবিধ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে হয়রানির পন্থা অবলম্বন করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে ব্যতিব্যস্ত।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারÑ নোবেল প্রাইজ প্রণেতা আলফ্রেড নোবেলকে গভীর স্মরণে আসছে। তিনি পরিহাস করে নিজের সম্পর্কে বলেছেন, ‘কোনো ডাক্তারের উচিত ছিলো জন্মমুহূর্তে তাঁর শোচনীয় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটানো। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পাপ : তিনি অর্থলোলুপ ছিলেন না।’ এই কঠিন সত্যকে যাঁরাই ধারণ করছেন তাঁরাই প্রতিমুহূর্তে সমকক্ষতা পরাভূত ব্যক্তি-গোষ্ঠীসৃষ্ট নির্মম সংকটে নিপতিত হচ্ছেন। এই বিপ্রতীপ সংশ্লেষ পুরো সমাজকেই বিপন্ন নির্বন্ধতায় আলোকনিবারিত করে তুলছে। সময়ের জোরালো দাবি- গণমাধ্যমের সত্যনিষ্ঠ লেখনি, প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, মনন-সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ তারুণ্যের অদম্য সক্ষমতার অবগাহনে এক আধুনিক যুগের ব্যাবর্তন সংস্কৃতির উৎসমূলে থাকবে এবং প্রতিটি সভ্য জাতিগোষ্ঠীতে সুশাসনের সংসর্গ প্রতিস্থাপন করবে।
নিঃসন্দেহে বলা যায়; সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল উপাদানসমূহের বাণিজ্যিকীকরণের অপকৌশল সামাজিক অসঙ্গতিগুলোকে গাঢ় করে তুলছে। বিশেষ করে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণের পন্থা বিচিত্র এক অন্তর্দ্বন্দ্বের বিরোধ প্রক্রিয়াকে সুনিপুণভাবে সুদৃঢ় করছে। সমাজবিজ্ঞানী উধারফ জরবংসধহ’র মতেÑ ঐতিহ্যিক, অন্যের মতামতনির্ভর বিবেক পরিচালিত আদর্শের ভিত্তিতে যে মনোজগৎ তৈরি হয় তা গণমাধ্যমের প্রচারিত বিজ্ঞাপন, জনমত তৈরি বা ব্যক্তিত্ব গঠনে মৌলিক ইতি পরিবর্তনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত এবং অস্থিতিশীল, অবাঞ্ছিত, অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনে দুর্দৈব অনৈতিক কালান্তরে প্রণিহিত হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে চার্লস ডিকেন্সের ভাষায়, একদিকে বিশ্ব সৌভাগ্যদের সর্বোত্তম এবং অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক ভাগ্যবিরূপ জনগোষ্ঠীর বর্বরতম রূপায়ন। তথ্যপ্রবাহের কথিত বিশ্বায়নে হেন্রি কিসিঞ্জিারের বক্তব্যেও তা সুষ্পষ্ট ‘কোন ঐতিহাসিক যুগের ধারে কাছেও যা ঘটেনি বিশ্বায়ন সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে তেমন এক বিস্ফোরণকেই উৎসাহিত করেছে। এমন দ্রুত পরিবর্তন অনিবার্যভাবেই বিদ্যমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধরণগুলোকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে। …. একটি রাজনৈতিক অস্বস্তি অবশ্যম্ভাবি-বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বে। এটা হলো, ব্যক্তি অথবা সরকার কারো পক্ষেই আর প্রভাবিত করা সম্ভব নয় এমনই এক শক্তির কৃপানির্ভর হয়ে পড়ার অনুভূতি।’ মূলত গণমাধ্যমে প্রযুক্তিবিদ্যার প্রায়োগিক ব্যবহার অনেকক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কারণ হতে পারে। এটি স্বতঃসিদ্ধ যে, প্রাগ্রসর জীবনপ্রবাহ উন্নততর পদ্ধতি অবলম্বনে পূর্বার্জিত সকল প্রতিপত্তি-সম্পদ-সম্মানকে উপেক্ষার অনগ্রসর মনোভাবকে উৎসাহিত করে।
প্রতিকূল পরিবেশে অনেকটুকু আচ্ছাদিত হলেও সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় অতীতের যে কোন উৎপাদন ব্যবস্থার তুলনায় আধুনিক পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়নের যুগে সমাজের সার্বিক পরিবর্তনে গণমাধ্যম যে একটা বিশাল ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভিন্ন আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপটে স্বরূপ প্রকাশের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আধুনিক ও উত্তর-আধুনিক কালে অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে এর বহুমাত্রিক গুরুত্ব সহজে অনুমেয়। এই যুগসন্ধিক্ষণে গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্রের প্রচার ও প্রসারে বিষয়বস্তু নির্বাচন, প্রযুুক্তিগত কৌশল, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য, বিপণন ব্যবস্থা সকল কিছুই উদ্দিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। বর্তমান মিডিয়া যুগে সুবিধাভোগীগোষ্ঠীর অনুকূলেই সংবাদপত্রের ঘূর্ণাকার বৃত্তায়ন সৃজন-সংহরণের দীপন দৃষ্টান্তরূপে প্রতিভাত।
প্রসঙ্গত বিখ্যাত যোগাযোগবিজ্ঞানী উইলিয়াম গর্ডনের বক্তব্য উল্লেখ করা যেতে পারেÑ ‘পাবলো পিকাসোর চাইতে বড় মাপের চিত্রশিল্পী হয়েও ওলফগ্যান্গ মজার্র্ট (ডড়ষভমধহম গড়ুধৎঃ) শিল্পবিপ্লব বা আধুনিক গণমাধ্যম প্রসার যুগের পূর্বে জন্মেছিলেন বলেই অতি কষ্টে তাঁকে জীবনধারণ করতে হয়েছিল, অথচ প্রচারযুগের বিশেষত্বের কারণে পিকাসো খ্যাতি লাভ করে একটি মাত্র ‘স্থির জীবন-চিত্র’র বিনিময়ে ফ্রান্সের দক্ষিণে একটি বাড়ী কিনতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ রকম বহু ঘটনার মাধ্যমে প্রচারযুগের নেতিপ্রসার বিস্তৃৃত হয়েছে।

উপরোল্লেখিত বিষয়সমূহের আলোকে এই সত্যিই প্রতিষ্ঠিত যে, সংবাদপত্রের বিকাশ যেভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার কথা ছিল; সেভাবে বৈশ্বিক এবং জাতীয় পর্যায়ে তা হয়নি। গণমাধ্যম বিশেষ করে পত্রিকার গুণগত ও মানসম্মত প্রকাশ-প্রচারণা ও পাঠকসংখ্যার বৃদ্ধি; শিক্ষার হার বা আধুনিক কলাকৌশল গ্রহণের তুলনায় মোটেই সুখকর নয়। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার বিষয়-বিশ্লেষণে কতটুকু জনগণের চাহিদা পূরণ করছে তার একটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন। একটি আধুনিক প্রেস বা পত্রিকার প্রধান বিষয় কি হওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিপুলসংখ্যক সমাজ-যোগাযোগবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ গণমাধ্যম গবেষণাকে অনেক বেশি ঋদ্ধ করেছে।

বরেণ্য যোগাযোগবিজ্ঞানী ঞড়স ইবঃযবষ বলেন, “ঞযব চৎবংং হববফং মড়াবৎহসবহঃ ঃড় সধশব যবধফষরহবং ধহফ ঃযব ঢ়ড়ষরঃরপরধহং হববফ ঃযব ঢ়ৎবংং ঃড় মবঃ রহঃড় ঃযব যবধফষরহবং. ঞযবরৎ ৎবষধঃরড়হংযরঢ় রং ংুসনরড়ঃরপ. ঙহব মৎড়ঁঢ় মবঃং যবধফষরহবং, ঃযব ড়ঃযবৎ নুষরহবং. ইড়ঃয বহলড়ু ঃযব ংধসব ফধরষু ‘ঋরী’”. এ বক্তব্যের বাস্তবতা সকল সমাজে সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত। দৈনিক পত্রিকার উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারের জন্য সর্বাধিক প্রয়োজন সরকার বা রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে সত্যনিষ্ঠ যাচাই-বাছাই, বিচার-বিশ্লেষণে তুলে আনা যা পত্রিকাকেও তার অবস্থান সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে। এটি একটি প্রচলিত পারস্পরিক যোগসাজশ। চিরাচরিত শুদ্ধাচার, রীতি-নীতিকে অবজ্ঞা নয়, সমাজের অসংখ্য অসঙ্গতির গভীর অধ্যয়ন এবং সমস্যার সমাধান নিরূপণে উদ্ভাবিত নবতর পন্থার সমাহারে কার্যকর সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে উদ্দিষ্ট লক্ষ্য সাধনে দৈনিক পূর্বকোণ রমণীয় গ্রহণযোগ্যতায় অগ্রগণ্য থাকুকÑ এটিই সাধারণ পাঠক হিসেবে আমার প্রার্থনা।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু চেয়ার, শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট