চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জীবনের জন্য বৃক্ষ

২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

আমরা বাঙালি, বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। এ দেশ সুজলা, সুফলা সোনার বাংলাদেশ। এ দেশ নদীমাতৃক দেশ। অভয়ারন্য, পার্ক, প্রাকৃতিক বন মিলিয়ে পাহাড়-পর্বত, নদ নদীর বাংলাদেশ। এ সবের মধ্যে আছে অগুনিত গাছের সমাবেশ। বৃক্ষের ফল আম, জাম, পেয়ারা, পেপে, কলাসহ প্রায় ফল আর লাউ, বেগুন, শশা, লালশাক, পুঁই শাক সহ প্রায় সব তরকারী ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের আঁধার। ইংরেজী কবিতায় পাওয়া যায় “ ঙহব ধঢ়ঢ়ষব ধ ফধু/শববঢ় ঃযব ফড়পঃড়ৎ ধধিু” “দিনে দুটো পেয়ারা খাও গেট থেকে ডাক্তার তাড়াও” দামী বৃক্ষের আসবাবপত্র বাড়ীর আভিজাত্য বৃদ্ধি করে। ক্রিকেটের ব্যাট, স্ট্যাম্প, বল গাছের তৈরী। বৈজ্ঞানিক নিউটন আপেল গাছের তলায় বসে আবিষ্কার করেন মাধ্যকর্ষন তত্ত্ব। বৃক্ষের অবদান সীমাহীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু গাছের সংখ্যা ক্রমশঃ কমছে। ভারসাম্যহীনতাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রধান কারণ। গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সম্পদ বাড়াতে হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিহত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গাছ ফল, ছায়া, অক্সিজেন, কাঠ, রোগ নিরাময় সব কিছুই দেয়। সুন্দর, সুস্থ ও নির্মল পরিবেশের জন্যে পর্যাপ্ত বনাঞ্চলের বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ সুস্থ রাখতে হবে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। স্বাধীনতা সার্বভৌম বাংলাদেশকে বন-বনানী অজস্র এবং বিচিত্র গাছ-গাছালিতে অতীতের ন্যায় ভরপুর করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মানুষের সুস্থ-সুন্দর জীবনের জন্যে গাছ রোপন করতে হবে। আসুন, আমরা সকলে পরিবেশ ও জীবনের জন্য পরিকল্পিত বন সৃষ্টির দিকে বিশেষ মনোযোগী হই। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, উপসনালয়ের সামনের খালি জায়গায়, খেলার মাঠ, নদ-নদীর ঢালু পাড়ে, অনাবাদী জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাই। বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।

মো. আবদুর রহিম
স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট