চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পানছড়িতে শীতের ঐতিহ্যবাহী পিঠার বাহারি আমেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পানছড়ি

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

শীতের মৌসুমেই পানছড়ির বিভিন্ন অলি-গলিতে জমে উঠেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পিঠা পুলির দোকান। পড়ন্ত বিকালের শুরুতেই গাছে গাছে লাফিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহের আশায় এ গাছ ও গাছ চষে বেড়ায় গাছিরা। আবার সাত সকালে রসের হাড়ি নামাতেই মো মো গন্ধে চারিদিক হয়ে উঠে মুখরিত। এই রস মিশ্রিত বিভিন্ন পিঠাও শোভা পাচ্ছে রাস্তার দু’ধারের পিঠা পুলির দোকানে। শীতে সাধারণত ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই জাতের পিঠাই বেশি তৈরি হয়। কিন্তু এ পিঠাগুলো পার্বত্য খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অন্য স্বাদে অন্য নামে পরিচিত। বিশেষ করে মারমা পিঠার রয়েছে আলাদা পরিচিতি। বাজারে ভাপা পিঠা ও চিতই জাতের পিঠা দেখা গেলেও মারমা পিঠার দোকানে লেগে থাকে উপচে পড়া ভীড়। পিঠাকে মারমা ভাষায় বলে “মুং”। আর মারমা পিঠার সেরার মাঝে রয়েছে ছেসবং মুং, রিফ্রি মুং, ছিল মুং, কোদও মুং, কদ মুং, ¤্রাচা মুং ইত্যাদি। আমন ধানের গুড়ির পিঠা ছাড়াও বিন্নি চাউলের পিঠার চাহিদা অত্র এলাকার মানুষের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বিন্নি চাউলের তৈরি মারমা পিঠার জুড়ি নেই। এই মারমা পিঠা তৈরির মূল কারিগর মারমা গৃহিনীরা। বিভিন্ন পাড়া, মহল্লার ও রাস্তার পাশে ছোট গর্ত করে দু’পাশে দুটি ইট দিয়ে বা টিনের বাক্সের তৈরী চুলোয় মুহুর্তের মাঝে তৈরী হচ্ছে মারমা পিঠা। গরম গরম পিঠা হালকা ফু’ দিয়ে খাওয়ার মজাটাই যেন আলাদা। শীতের বিদায়লগ্ন পর্যন্ত সকাল-বিকাল দু’বেলাই জমে উঠে পিঠা বেচার ধুম। এই পিঠার দোকানে ধনী-গরীবের নেই কোন ভেদাভেদ। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে অর্ডার করা মাত্রই হাতে তুলে দিচ্ছে মারমা পিঠা। অনেক ভ্রমন পিপাসুরাও রাস্তার পাশে দাড়িয়ে স্বাদ নিচ্ছে মারমা ও দেশীয় পিঠার। গরম পিঠায় ফু’দিচ্ছে আর বলছে আহ্ কিযে মজা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট