চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড

সততা স্টোরে নেই শিক্ষার্থীদের সামগ্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নানারকম গল্পের বই, খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, ইরেজার, স্কেল, রঙ পেন্সিলসহ বিভিন্ন রকম শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে রাখা তিনটি আলমিরা। একটু দূরে টেবিলের উপরে আছে একটি ঢিলেঢালা প্লাস্টিকের বক্স। বক্সের মুখের মাঝখানেই টাকা রাখার একটি ছিদ্র। সেখানে রাখা হচ্ছে টাকা। কিন্তু নেই কোনো বিক্রেতা। তবে অনেকটা অগোছালো অবস্থায় পড়ে আছে কিছু বই ও রং পেন্সিল। সকাল ১১টা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিলনা সততা স্টোরে। এখান থেকেই বই, খাতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। আর টাকা রাখে পাশের বক্সটিতে। দৃশ্যটি নগরীর কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের সততা স্টোরের। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অর্থায়নে এ সততা স্টোর চালু হয়েছে। এখানে শিশুদের নৈতিকতা, সততা ও মনুষ্যত্ব শিক্ষা এবং সর্বোপরি সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুদক শিশুদের সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে ২০১৮ সালে নগরীর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মধ্যে কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের এই সততা স্টোর চালু করেছে। তখন থেকেই চলে আসছে এ স্টোর। তবে অনেকটা জরাজীর্ণ। সততা স্টোরে আছে নানারকম গল্পের বইসহ কিছু একাডেমিক গাইড বই। আছে ১ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নানা বই। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভির আফছার ও মেহেরাজ বিন ইমরান জানায়, আমাদের সততা স্টোর আগে বেশি চলতো। এখন সততা স্টোরে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাই না। কিন্তু এখনো গল্পের বই, জ্যামিতি বক্স ও রং পেন্সিল নিয়ে যাই। আগে আমাদের স্টোরটি নিচে ছিল, এখন এটি উপরে লাইব্রেরির সাথে যুক্ত করে রাখা হয়েছে।

এ বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, সততা মানব চরিত্রের একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। মানবজীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অতএব মানুষকে সর্বদা কথা ও কাজে সততা ও স্বচ্ছতা রক্ষা করতে হবে ও মিথ্যাচার থেকে বাঁচতে হবে। তারই লক্ষ্যে কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই সততা শিক্ষায় এ স্টোর চালু করা হয়েছে। এটি দুদকের অসাধারণ একটি উদ্যোগ। আমাদের বিদ্যালয়ে যেদিন থেকে সততা স্টোর চালু হয়েছে সেদিন থেকেই আমার এটি চলমান রেখেছি। কিন্তু বর্তমানে নিচে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কক্ষ নির্মাণের জন্য এটি উপরে লাইব্রেরির সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এখনো আমাদের শিশুরা এখান থেকে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে। তবে যেকোনো ভালো উদ্যোগে নানারকম প্রতিবন্ধকতা থাকে। তেমনি আমাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই যেমন আমাদের প্রথমে ৫০ ভাগ লস হয়েছে, পরে কমে ২০ ভাগে এসেছে। এখনো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে বলা যায় না। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা চুপিচুপি পণ্য নিয়ে যায়, টাকা জমা দেয় না। আশা করছি একদিন শতভাগ সফল হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট