চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হ্নীলা হাসপাতাল সার্বক্ষণিক ফ্রি ডেলিভারি সেবা শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ

৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ফ্রি ডেলিভারি সেবা শুরু হয়েছে। যা এলাকার জন্য বিরল ঘটনা। ১৯৬০ সালে সাব-সেন্টার হিসাবে প্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম ঘটনা। এই প্রশংসনীয় কাজের উদ্যোক্তা হলেন কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. আজাদ মোহাম্মদ নুুরুল হোসাইন প্রকাশ ডাক্তার আজাদ। এই মহতি কাজের যাবতীয় সহযোগিতা করছেন এনজিও সংস্থা আরটিএমআই। এমনকি সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে হ্নীলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেলিভারি কার্যক্রমের জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে ০১৭৭৫৪৬৮৮৪৯ এবং ০১৮৫৫৮৬২৮৫৯ নাম্বার দু’টি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে। এইজন্য আরটিএমআই ৪ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। আরও ১ জন ডাক্তার নিয়োগ দেবে।

জানা যায়, হ্নীলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি সেন্টার হিসেবে গত ২৯ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে। সেদিন দুপুরে হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়া গ্রামের মৌলভী মোহাম্মাদ ইউনুছের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩৫) নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। মেডিকেল অফিসার ডা. শংকর চন্দ্র দেবনাথের তত্ত্বাবধানে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. আজাদ মোহাম্মদ নুুরুল হোসাইনের প্রচেষ্টায় বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। সহযোগিতায় ছিলেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিক (এফডব্লিউভি) নুসরাত জাহান, আরটিএমআই’র মিডওয়াইফ মনি আক্তার, আয়া হাসিনা বেগম, খুর্শিদা বেগম ও নাইট গার্ড শামশুল আলম। এরমধ্যে মিডওয়াইফ মনি আক্তার নেত্রকোনার বাসিন্দা ও অপর ৩ জন স্থানীয়।

মেডিকেল অফিসার ডা. শংকর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, গ্রামাঞ্চলে মনোরম পরিবেশে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডেলিভারি সেন্টারে বিনামূল্যে সেবা প্রদানের দৃষ্টান্ত বিরল। মহিলারা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অনেক শিশু শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে কোন সমস্যা হয় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোছাইন আহমদ বলেন, উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় বিশেষত এলাকার অসহায় গরীব প্রসূতিদের জন্য একটি মাইলফলক। এখানে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদে বিনামূল্যে প্রসব ছিল অকল্পনীয়। আমি উদ্যোক্তা ডা. আজাদ, দাতা সংস্থা আরটিএমআই ও সংশ্লিষ্ট সকলকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে কাজটি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের হলেও তাদের তৎপরতা এবং আগ্রহ তেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট