চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান খামারিরা

তিন মাসে ২৭টি গরু চুরি উদ্ধার হয়নি একটিও

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

তিন মাসে চট্টগ্রামের তিন উপজেলা থেকে চুরি হয়েছে ২৭টি গরু। সংশ্লিষ্ট থানায় এনিয়ে মামলাও করেছেন খামারিরা। পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছেন গরু চুরির সিসিটিভি ফুটেজও। কিন্তু মাসের পর মাস পার হলেও এসব গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন চট্টগ্রামের খামারিরা। চিটাগং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যমতে, পটিয়ার জলুর দিঘির পাড় এলাকার ওয়াহিদ ডেইরি ফার্মে গত ১২ আগস্ট ডাকাতি হয় ৫টি গাভী। ১৬ আগস্ট একই উপজেলার কমল মুন্সিরহাট এলাকার আরও একটি খামারে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া হয় ৪টি গাভী ও ২টি বকনা

বাছুর। তাকদির ডেইরি নামক সেই ফার্মের মালিক মো. আজিজ থানায় ডাকাতির সিসিটিভি ফুটেজও সরবরাহ করেন। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসেও পটিয়া উপজেলায় চুরি হয় আরো ৬টি গরু। ২৭ অক্টোবর পটিয়ার পাইকপাড়ায় চুরি হয় ১টি গাভী ও ২৮ অক্টোবর একই উপজেলার ভাটিখাইনে চুরি হয় আরো ৫টি গাভী। পরের দিন ২৯ অক্টোবর কর্ণফুলীর শিকলবাহার গোয়াল পাড়ার স্টার ডেইরি ফার্মেও ঘটে চুরির ঘটনা। সেখান থেকে চুরি করা হয় ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গাভী। নভেম্বর মাসেও চন্দনাইশে ঘটে ২টি চুরির ঘটনা। ৭ নভেম্বর চুরি হয় চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকার মাওলানা ইসহাকের ৪টি গরু। যার মধ্যে ছিল ২টি গাভী ও ২টি বাছুর। পরের দিন ৮ নভেম্বর একই পৌরসভার নিধিরামপুর এলাকায় চুরি হয় আরো ৩টি গরু।

এসোসিয়েশনের দেয়া এ তথ্যমতে, তিন মাসে চট্টগ্রামের তিন উপজেলা থেকে চুরি হয়েছে ২৭টি গরু। শুধুমাত্র পটিয়া উপজেলা থেকেই আগস্ট মাসেই ডাকাতি হয়েছে ১১টি গরু। অক্টোবরে চুরি হয়েছে আরো ৬টি গরু। একই মাসে কর্ণফুলী উপজেলায় চুরি হয় ৩টি গাভী। পরবর্তী নভেম্বর মাসে চন্দনাইশ উপজেলায় চুরি হয় ৭টি গরু। গরুচুরির এ ঘটনায় খামারিরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান চিটাগং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন।

নাঈম উদ্দিন জানান, ‘গত কয়েকমাস ধরে খামারিরা আতঙ্কে আছেন। এর কারণ হচ্ছে, খামার থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে গরু। গত তিন মাসে ২৭টি গরু চুরি হয়েছে। এ নিয়ে আমরা প্রশাসন ও পুলিশের সাথে একাধিকবার যোগাযোগও করেছি। কিন্তু কোন আপডেট পাইনি। এভাবে গরু চুরি হতে থাকলে খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে। আমরা এ নিয়ে খুবই শঙ্কিত। দ্রুত এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. আফরাজুল হক টুটুল পূর্বকোণকে বলেন, ‘পটিয়ার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ গরু চুরি করে আসছে। এরা শুধু পটিয়ায় নয়, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গরু চুরি করে থাকেন। আমরা চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, চক্রটিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট