চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পর্যটক ও বাসিন্দারা অতিষ্ঠ সেন্টমার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ

১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:২৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং দ্বীপের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি ছোট্ট এই দ্বীপে ৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস যে দ্বীপে সেখানে এত বেশি বেওয়ারিশ কুকুর পর্যটক এবং স্থানীয়দের রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে। কুকুরের কারণে দ্বীপের অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের স্কুল মাদ্রাসায় পাঠাতেও ভয় করছেন। ভয়ে অনেকে ছেলে মেয়েদের বাড়ি থেকে বের হতে দেন না। জানা যায়, দ্বীপের বাজার, সি-বিচ এবং জেটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব একটু বেশি। বিষয়টিকে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটনের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন। পর্যটকরা ভোর এবং বৈকালিন সময়ে সমুদ্রে এবং সৈকতে অবাধে বিচরণ করতে পারে সেজন্য দ্রুততম সময়ে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত কয়েক বছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে। কুকুর নিধন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে আতংকও বেড়েই চলছে। দ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বেওয়ারিশ কুকুরের কারণে দ্বীপের মানুষ আতংকে আছে। প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও আতংক নিয়ে চলাফেরা করছেন। পর্যটনের ভর মৌসুমে জনস্বার্থে কুকুর নিধনের বিকল্প নেই। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, সেন্টমার্টিনদ্বীপে ৫ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে পর্যটকসহ স্থানীয়রা রীতিমত আতংকে রয়েছে। বিষয়টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের বাধার কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছরই বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, আইনি জটিলতার কারণে দ্বীপের বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট