চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

দলীয় প্রার্থী পেয়ে উৎফুল্ল আ. লীগ

নৌকার জয় নিশ্চিত করতে সকলকে কাজ করতে হবে : গণভবনে প্রধানমন্ত্রী

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন হ

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পেয়ে উৎফুল্ল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৪৬ বছর ধরে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগে কোন নেতাকর্মী জয় লাভ করতে পারেননি। ২০০৮ সালে এই আসন থেকে জয় লাভ করেছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে জয় লাভ করেছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রয়াত এস এম কফিল উদ্দিন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো নেতা এই আসন থেকে জয়ী লাভ করতে পারেনি। প্রতিবারই জয় লাভ করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, ১৯৭৩ এর নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ না থাকায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকটা বিরোধী দলের মতো অবস্থা। দলীয় সাংসদ না থাকায় এলাকায় কাক্সিক্ষত উন্নয়নও হয়নি। দলীয় প্রার্থীর দাবি ছিল তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১৯ জন প্রার্থী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, এমপি বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল, সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহের, চসিক প্যানেল মেয়র জুবাইরা নার্গিস খান, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ এম এ মান্নানের ছেলে পারভেজ চৌধুরী মান্নান, সাবেক ছাত্রনেতা আশেক রসুল খান, এস এম কফিল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, আবদুল কাদের সুজন।
সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ পূর্বকোণকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, তার জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একযোগে কাজ করবেন।

গতকাল মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার শেষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর মনোনয়নপ্রত্যাশী শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন দলীয় প্রার্থী। এসময় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একাট্টা হয়ে মোছলেম উদ্দিনের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

গণভবনে সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রবীণ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদকে প্রার্থী ঘোষণা করলাম। নৌকা প্রতীকের জয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে।’
বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহজাদা মিজানুর রহমান বলেন, বোয়ালখালী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবার দলীয় প্রার্থীর জন্য উম্মুখ ছিলেন। দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা মোছলেম উদ্দিনকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা উল্লাসিত-উৎফুল্ল। অতীতের মতো দলীয় নেতাকর্মীরা এবার তার বিজয়ে এককাট্ট হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত ৭ নভেম্বর সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ইসি। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ আংশিক) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পেল আওয়ামী লীগ।

গতকাল গণভবনে অনুষ্ঠিত সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পাশের উপজেলা পটিয়া সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দুইবারই বিএনপি প্রার্থীর কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট