চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রীমাই খালের বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে হুইপের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি , পটিয়া

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

বালুমহাল ইজারা নিয়ে পটিয়ায় উপজেলার ৩টি খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলনের স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী সরেজমিন পরিদর্শন করতে গিয়ে বালু উত্তোলন সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসি ল্যান্ড, সার্ভেয়ার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পটিয়ার শ্রীমাই খালটি চিহ্নিত করার পর সেখান থেকে ইজারাদারকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

শ্রীমাই খাল পরিদর্শনকালে হুইপের সঙ্গে ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রহমান সানি, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তিমির বরণ চৌধুরী, উপ প্রকৌশলী আকরাম খাঁন, বিজন চক্রবর্ত্তী, বি.এম জসিম, হাবিবুল হক চৌধুরী, এম এজাজ চৌধুরী, আলমগীর আলম ও এম এন নাছিরসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি, আ. লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
শ্রীমাই খাল পরিদর্শনকালে হুইপকে গ্রামবাসী জানান, প্রতি বর্ষা মওসুমে শ্রীমাই পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার হাইদগাঁও শ্রীমতি বাড়ি এলাকা, পারিগ্রাম, শ্রীমাই, ভাটিখাইন ও ছনহরা এলাকায় রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি অর্থ বছরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভাগ থেকে প্রায় ২৯ লাখ টাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা নিলেও একটি প্রভাবশালী মহল ও ইজারাদার খাল থেকে বালু উত্তোলন না করেই এস্কেভেটর দিয়ে পাশর্^বর্তি ভরাটকৃত খাল ও জমি থেকে বালু ও মাটি কেটে নিচ্ছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।

পটিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রহমান সানি জানিয়েছেন, পটিয়ার শ্রীমাই খালটি পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দেওয়ার পর বালুমহাল ইজারাদার সেখান থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে। সাময়িক বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট