চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরীর বাড়ি-দোকানে নাশকতার আগুন

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

রাউজান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে একইরাতে (সোমবার দিবাগত রাতে) বাড়ি ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবু জাফর চৌধুরী নিজের অপারেশনের জন্য শহরের বাসায় যাওয়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন।

তিনদিন আগে তার মালিকানাধীন আরো দুটি দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ সোমবার দিবাগত রাতে একঘণ্টার ব্যবধানে ওই মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি ও আরেক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে নাশকতা এবং পূর্ব পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। আগুনে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, সম্পত্তির দলিলপত্র, আসবাবপত্রসহ কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ ভস্মিভূত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সংবাদ পেয়ে আধঘণ্টার মধ্যে রাউজান ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্স সার্ভিসের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে আগুনে জাফর চৌধুরীর বসতঘরসহ চারটি রুম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এছাড়া রুমের মধ্যে থাকা নগদ, টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, সম্পত্তির দলিলসহ সবকিছু ভস্মিভূত হয়ে যায়। এই ঘটনায় তার ৫০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আবুল কালাম চৌধুরী, ওসি কেপায়েত উল্লাহ, ওসি তদন্ত মীর হোসেন, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনীতিক মহল ও পুলিশের বিভিন্ন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আবু জাফর চৌধুরী বলেন ‘আমি যে ঘরে রাতে ঘুমাই, সেই ঘরের টিনের চালের ফাঁক দিয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। আমাকে মেরে ফেলার উদ্যোশে গান পাউডার বা অন্যকোনভাবে এ আগুন দেয়া হয়েছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি।’ থানার সেকেন্ড অফিসার মো. নুরুন্নবী বলেন ‘আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১০জন চিহ্নিত ও ১০-১২জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।’ রাউজান ফায়ার এন্ড ডিফেন্স সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম আগুন লাগার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট