পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ ও বন রক্ষায় আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি তাদের সহায়তা আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী চার বছরে তারা তিন পার্বত্য জেলায় বনায়ন তৈরি পরিবেশ ও বন রক্ষায় প্রায় সাড়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান শহরের অরুণ সারকি টাউন হলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএসএআইডি’র মিশন প্রধান ডেরিক ব্রাউন সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এ কথা জানান। ডেরিক ব্রাউন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সত্যিকার উন্নয়ন করতে হলে সবার কথা শুনতে হবে এবং স্থানীয়দের যুক্ত করতে হবে। ‘এ অঞ্চলে ইউএসএআইডি পার্টনাদের সাথে কাজ করে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি বনাঞ্চল রক্ষায় সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে ইউএনডিপির মাধ্যমে পার্বত্য তিন জেলায় ১১৭টি পাড়া বন সংরক্ষণে সক্ষম হয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডেরিক ব্রাউন জানান, বন রক্ষায় বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও ব্যক্তির দায়িত্ব প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। এর আগে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির আয়োজনে ‘সমন্বিত প্রতিবেশগত ব্যবস্থা: উত্তরণের উপায় শীর্ষক একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চাকমা রাজা (সার্কেল চিফ) ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, গাছ নিধন ও বন উজাড় হলেও বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে পুনরায় বনায়ন সৃষ্টি করা সম্ভব। এর একটি প্রকৃত উদাহরণ স্থানীয়দের উদ্যোগে বিভিন্ন মৌজায় পাড়াবন তৈরি।
সভায় বান্দরবান জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিং ইয়ং ম্রো বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াই চিং মারমা, মৌজা হেডম্যান থোয়াই অং মারমা ও এডভোকেট সারা সুদীপা ইউনুছ বক্তব্য রাখেন।