চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাপ্তাইয়ে বিভাগীয় কমিশনার

কর্ণফুলী কাগজ কল বাঁচানো সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাপ্তাই

২৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয় তা যদি কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলসকে তৈরি করতে দেয়া হয়, অন্তত এই সুযোগে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’। প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানানো হলে তিনি নিশ্চয় পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতিতে প্রভাব সৃষ্টিকারী এই প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান।

গত বুধবার ২০ নভেম্বর বিকেলে পারিবারিক ভ্রমণে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডে এসে মিলসটির বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে অতিথি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিবিএ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম.এম.এ কাদেরের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ.কে.এম মামুনুর রশিদ, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম চৌধুরী বেবি, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ ঐতিহ্যবাহী এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’ (কেপিএম)’র কাগজ উৎপাদনের জন্য একসময় প্রচুর পরিমাণে মূলি ও বাড়িয়াল বাঁশসহ নানান প্রকার গাছের প্রয়োজন হতো। যা সংগ্রহ করা হতো রাঙামাটির বরকল, মাইনী, হরিণা, মাচালং, কাঁচালংসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতির বিপ্লবে সিংহভাগ ভূমিকা রাখতো প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় যে খাতা ব্যবহার হতো, তার চাহিদার বেশিরভাগই মেটাতো প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ২৩টিরও বেশি নানান প্রকৃতির কাগজ উৎপন্ন করে এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কলের খ্যাতি অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ২০০৮ সালের পর ক্রমাগত লোকসানের মুখে বাঁশ-গাছ সংগ্রহ করা কমিয়ে দিলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তার প্রভাব পড়ে সমগ্র পাবর্ত্যাঞ্চল জুড়েই। বেকার হতে বসে শ’খানেক বাঁশ ব্যবসায়ী। শুরু হয় এ অঞ্চলে ব্যবসাখাতে মন্দাভাব। কিন্তু বর্তমানে লোকসানের হার কমে আসলেও অর্থ সংকটের কারণে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোনভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এতে বেতন-ভাতা বকেয়া থাকায় মিলসটির ৩ শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট