চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইট বোঝাই শ্রমিক থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত

জাহেদুল আলম হ রাউজান

২১ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের ডাকাত সর্দার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর ওরফে আলইম্যা ডাকাত একসময় ছিল ট্রাকের ইট বোঝাইয়ের শ্রমিক। পরে অপরাধ জগতে পা বাড়িয়ে ধীরে ধীরে হয়ে উঠে দুর্ধর্ষ ডাকাত। ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরিচিতি লাভ করে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে। বিএনপি জোট সরকারের শাসন আমলে র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছিল শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমসহ দশ সন্ত্রাসী। জানে আলমের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে ছিল তার পরিচিতি। অস্ত্র মামলায় দশবছর জেল খেটে ১ মাস ২০ দিন আগে জামিনে মুক্ত হয়ে বের হয়।

দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর দুর্ধর্ষ ডাকাত আলম জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। পূর্ব রাউজান পাহাড়ি এলাকার সামশুল আলমের টিলায়, রাউজান রাবার বাগান এলাকায়, চিকনছড়া, মুখছড়ি, পাশর্^বর্তী কাউখালী উপজেলার মনাই পাড়া, তালতলা, নাকাটা, ডিলাইট, দোচালা পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাত আলম সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকার তার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বাধাদানকারী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও লোকজনকে ঘায়েল করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল সে। আর এ জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরি করছে বলে এলাকার লোকজন ধারণা করছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ডাকাত আলম পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজান ঢালারমুখ রাউজান পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানস্থ সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির মো. আব্দুল সাত্তারের ছেলে। গত বিএনপি জোট সরকারের শাসন আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমের সাথে দুর্ধর্ষ ডাকাত আলমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সান্নিধ্যে এসে ওইসময় সে এলাকায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করে। দুর্ধর্ষ ডাকাত-সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি হয়ে উঠে। শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমের নেতৃত্বে দুর্ধর্ষ ডাকাত আলম ও তার সহযোগীরা রাউজানের হরিশখাইন পাড়ার শাহা আলম, মোটরসাইকেল মেকানিক বোবা নাসির, রাউজান ইউনিয়নের মেম্বার আকতার হোসেন, কদলপুরে সাবেক রাউজান উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন খানের শ্যালক চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ওমর ফারুককে নির্মমভাবে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাকাত আলম ও তার সহযোগীরা রাউজানের আলীখীল এলাকার যুবলীগ নেতা মনসুর, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পৌরসভার ২য় প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, গহিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সিরাজুল হক, পৌরসভার কাউন্সিলর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী মো. ইকবাল, যুবলীগ নেতা জামশেদ, আশীষ নাথ, পুলক ভট্টচার্য্য, রনজিৎ মহাজন, সুধির দে, সেলিমের ওপরও হামলা করে আহত করে বলে জানা গেছে।

এদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত আলম বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সংবাদ পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট