চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

আধিপত্য নিয়ে গোলাগুলিতে আলম ডাকাত নিহত পেকুয়ায়

এএসপিসহ পাঁচ পুলিশ আহত ১২ বন্দুক ও গুলি উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা হ চকরিয়া-পেকুয়া

২০ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র বেচাকেনার সময় টাকার ভাগ ও আধিপত্য নিয়ে গোলাগুলি হয়। এতে পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত সদস্য মোহাম্মদ আলম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এসময় ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ছররা গুলিবিদ্ধ হয়ে এএসপি সার্কেল, ওসি ও এএসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ডাকাত দলে গোলাগুলির সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ওইসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আহতরা হলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মিজানুর রহমান, এএসআই

মেজবাহ উদ্দিন, ইব্রাহিম এবং কনষ্টেবল শফিকুল ইসলাম। আহতরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৯টি এলজি, ২টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ১টি টুটু বোরের রাইফেলের গুলি ব্যবহার যোগ্য দেশীয় বন্দুক ও ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ডাকাত মোহাম্মদ আলম রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন আইনে সাতটি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল আজম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৫টার দিকে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে অস্ত্র বেচাকেনার ভাগ ও আধিপত্য নিয়ে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ১০-১২জন ডাকাত গুলি করতে করতে নিকটস্থ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের সদস্য মোহাম্মদ আলমের মরদেহ ও অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় এসআই শিমুল নাথ বাদি হয়ে অস্ত্র আইন ও পুলিশ এসল্টসহ হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় নিহত আলম ছাড়াও পলাতক অজ্ঞাত ১০-১২জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট