চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এমন বীভৎস দৃশ্য কখনও দেখেননি দোকানি মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

মানুষের মৃত্যুর এমন বীভৎস দৃশ্য কখনো দেখেননি মঞ্জুর হোসেন। তার টং দোকান থেকে এক কাপ চা নিয়ে পান করছিলেন পাশের ভবনে কাজ করা রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম। বেশ কয়েকদিন ধরে ভবনটির রংয়ের কাজ করছিলেন তিনি। কয়দিন ধরে চা খেতে আসায় মঞ্জুরের সাথে তার একটু আধটু সখ্যও গড়ে উঠেছে বৈকি। প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার সকাল সাতটায় যথারীতি টং দোকান খুলে বসেন মঞ্জুর। কিছুক্ষণ পর চা পান করতে আসেন নুরুল। এর মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো এলাকা ধুলোবালিতে অন্ধকার হয়ে যায়। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় মঞ্জুরের টং দোকান। তিনিও চাপা পড়েন সখের টং দোকানের কাঠামোর নিচে। কিছুক্ষণ পর দেখেন রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলামের মৃতদেহটি তার চোখের সামনে পড়ে আছে।

সড়কের ্উপরে পড়ে আছে আরো বেশ কয়েকটি মৃতদেহ। কথা বলতে বলতেই চোখের সামনে লোকটি মরেই গেলো। কোথা থেকে কি হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। নিজে বেঁচে গেলেও নুরুল ইসলামের মৃত্যু নাড়া দিয়েছে মঞ্জুরকে।

প্রায় পঞ্চাশোর্ধ মঞ্জুর বিশ বছরের অধিক সময় ধরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হওয়া বড়–য়া ভবনের বিপরীতে টং দোকানে চা বিক্রি করেন। গতকাল রবিবার দুপুরে কথা হয় ব্রিকফিল্ড রোডের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুরের সাথে। তার শার্টে তখনো মানুষের রক্তের দাগ লেগেছিল।
মঞ্জুুুুর বলেন, প্রতিদিনের মতো সকাল সাতটায় টং দোকান খুলি। সাড়ে আটটার দিকে চা খেতে আসেন রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে বড়–য়া ভবনের দেয়ালের অংশ, একটি স্টিলের আলমিরা, একটি বাইসাইকেল এসে পড়ে টং দোকানের পাশের জনতা ফার্মেসির সামনে। ভবনের লোহার গেটের একটি ফার্মেসির ভেতরে ঢুকে যায়। মঞ্জুর বলেন, যারা মারা গিয়েছে তারা সকলে পথচারী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট