চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘স্ত্রী সন্তান ছাড়া কীভাবে বাঁচবে আমার ভাই’

নিজস্ব সংবাদদাতা হ সাতকানিয়া

১৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

‘সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে স্বামী সন্তানদের নিয়ে নগরীর পাথরঘাটায় ভাড়া বাসায় থাকতেন আমার এডভোকেট ছোট ভাই ও তার পরিবার। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাদের সন্তানকে মানুষ করার আগেই নিয়ে গেলেন তার কাছে। সন্তানের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্নে আমার ভাইয়ের পুরো পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা। এখন আমার ভাই তার স্ত্রী সন্তান ছাড়া কীভাবে বাঁচবে? আর আমাকে বড় গলা করে কে ডাকবে বড় আব্বু?’। গতকাল রবিবার বিকেলে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কালিয়াইশ ৯নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী সিকদার বাড়ির বাসিন্দা ও নগরীর পাথরঘাটাস্থ নজুমিয়া লেইন এলাকার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে নিহত গৃহবধূ জুলেখা খানম ফারজানার স্বামীর বড় ভাই লোকমান হাকিম কান্নাবিজড়িত কন্ঠে পূর্বকোণকে এ কথাগুলো বলছিলেন। গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ছেলে সন্তানসহ মর্মান্তিকভাবে নিহত হয় এডভোকেট আতাউর রহমানের স্ত্রী ফারজানা। তার শিশু সন্তান আতিকুর রহমান শুভসহ (৮) ফারজানা নিহত হওয়ার খবর কালিয়াইশস্থ শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছলে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ শাশুড়িকে সাান্ত¡না দেয়ার জন্য ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা। জানা যায়, আতাউর-ফারজানার ছিল দুই সন্তান। বড় ছেলের নাম আতিকুর রহমান শুভ সে নগরীর সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। ছোট ছেলে আতিফুর রহমান শুভ্র (৫) পড়তো নার্সারিতে। দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে স্কুলে দিয়ে এসেছেন। আরেকজনকে প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন মা জুলেখা খানম ফারজানা। পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোড অতিক্রম করার সময় কিছু বুঝার ওঠার আগেই ঘটে দুর্ঘটনা। মা ও ছেলের ওপর দেয়াল ধসে পড়লে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছেলের হাত ধরে মা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেয়াল ধসে পড়লে অনেকের সঙ্গে তারা দুজনও নিহত হয়। চোখের পলকেই ঘটে এ দুর্ঘটনা। গতকাল রবিবার রাত নয়টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয় জুুলেখা ও তার সন্তান শুভকে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট