চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডিজিএম বাদি হয়ে ভূজপুর থানায় অভিযোগ

প্রবাসীর ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকচক্র

এস.এম মোরশেদ মুন্না, নাজিরহাট

১৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির উপজেলার ভূজপুর থানাধীন হেলাল উদ্দীন নামে এক প্রবাসীর দালানে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে দেড়লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র।

রাউজান উপজেলার বাসিন্দা সালাউদ্দিন ওই প্রতারক চক্রের মূল হোতা। ভুক্তভোগী বিষয়টি ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে তারা দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়। এই নিয়ে ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পল্লী বিদ্যুৎ জিএম (ভারপ্রাপ্ত), ভূজপুর থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভূজপুর থানার পশ্চিম ভূজপুর আন্দারমানিক গ্রামের ওমানপ্রবাসী হেলাল উদ্দিন ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল সংলগ্ন বাসস্থানের জন্য একটি তিনতলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণ করেন। দালানে কাজ শেষ না হতেই ওই প্রতারক সালাউদ্দিন নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের লোক বলে দাবি করে তার বাড়িতে দ্রুততার সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। সালাউদ্দিন ভূজপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করেছিলো বলে তার সাথে হেলাল উদ্দিনের দেখাশোনা। এতে নানান কৌশলে প্রতারক সালাউদ্দিন চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে নানান ভোগান্তি শেষে চারমাস পর বিদ্যুতের সংযোগ দেয়। ওই সংযোগের এক মাস যেতে না যেতেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের দায়ে ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা হেলাল উদ্দিনের দালানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

এদিকে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বৈধ উপায়ে দালানের মালিককে ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবারো ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা জমা করতে হয়েছে। আর্থিক আর মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দালানের মালিক হেলাল উদ্দিন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৌশলে ঠিকাদারের মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাজটি করেছে। ঘটনাটি জানার পর আমরা তদন্তে নামি। এতে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরে রাউজানের বাসিন্দা সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় আমি নিজে বাদি হয়ে অভিযোগ করি। যা তদন্তনাধীন অবস্থায় রয়েছে।

ভূজপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মুহাম্মদ সাহাদাত জানান, ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগভাবে যা করার, তা-ই করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট