চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মহামারি আকারে ‘লাম্পি স্কিন’

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে খামারিদের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে মহামারি আকার ধারণ করেছে গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ ডিজিজ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক খামারে মারা গেছে গরু। হ্রাস পেয়েছে দুধের উৎপাদন। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই রোগ নিয়ন্ত্রণে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন খামারিরা। মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের সামনে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসকের দাবিতে সমাবেশ করেছেন খামারিরা।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে এ সমাবেশে অংশ নেন চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের খামারিরা। এ সময় এ রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবারহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানির দাবি জানান তারা।
চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমাদের গরুগুলো লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামে এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যা এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই রোগ সর্বশান্ত করছে খামারিদের। বিভৎস ঘা নিয়ে খামারে গরুর পরিচর্যা কঠিন বিষয়। আমরা ডাক্তারের পরামর্শ পাই না। সরকারি ডাক্তারদের পাওয়া কঠিন বিষয়। তারা অনেকেই কলে পরিদর্শনে যান না। সরকার আইন করেছে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ লাগবে। আর এজন্য খামারগুলোতে নিয়মিত ডাক্তার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া এ রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবারহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের খামারিদের পক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপ-পরিচালক ফরহাদ হোসেন পূর্বকোণকে জানান, ‘আজ দুপুরে গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ ডিজিজ এর হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ভ্যাকসিন পেতে স্মারকলিপি প্রদান করেন চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা। রোগটি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এর সঠিক ভ্যাকসিন এখনো তৈরি করা যায়নি। তবে রোগটি মূলত মানুষের শরীরের ‘চিকেন পক্স’ রোগের মত। এর লক্ষণও প্রায় এক। এ সময় গরুর গায়ে প্রচন্ড জ্বর থাকে। তাই আমরা খামারিদের প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি রোগটি যেনো খামারের অন্য সুস্থ গরুর মাঝে না ছড়ায় সেজন্য আক্রান্ত গরুকে মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছি। তবে এ রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী পাঁচ থেকে ছ’মাসের মধ্যে খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিতে পারবো। এজন্য ইতিমধ্যে বাজেট তৈরির কাজ চলছে।’

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এএএস

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট