মাদকের আসর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোরে নগরীর এনায়েত বাজাার রাণীর দিঘির পাড়ের ইসহাক ভিলার তৃতীয় তলার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের দাবি-পাঁচজনই সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাংয়ের গডফদাার। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন-মোহাম্মদ ইয়াকুব(৩৮),সিরাজুল ইসলাম (৪৩),শেখ ফরিদ আহম্মদ (৪৩), শিমুল বিশ্বাস (৫০) ও মো.

আলাউদ্দিন (৪৬)। এরমধ্যে ফরিদ সিআরবি জোড়াখুনের মামলার আসামি। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে শেখ ফরিদের বাসা নগরীর পলোগ্রাউন্ড মসজিদ এলাকায়। টাইগারপাস, পলোগ্রাউন্ড-সিআরবিসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত ফরিদ রেলওয়েতে টেন্ডারবাজি নিয়ে আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণ করেন। সিআরবিতে টেন্ডার নিয়ে একাধিক সংঘর্ষে লিমন গ্রুপের হয়ে অংশ নিয়েছিল শেখ ফরিদ। ২০১৩ সালে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সিআরবিতে সংঘর্ষে দুজন নিহতের মামলার আসামি ফরিদ। ওসি মহসনি দাবি করেন,‘ফরিদের নেতৃত্বে কমপক্ষে ৩০ জন শিশু-কিশোরের একটি গ্যাং আছে। তাদের ছিনতাই-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করে কথিত বড় ভাই ফরিদ। সে সবসময় গ্যাং নিয়ে চলাফেরা করে। ফরিদ ও তার সহযোগীদের মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই বাসা থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম স্লাইড কেউস, ব্যারেল, পিস্তল গ্রিপ উইথ ট্রিগার মেকানিজমের ভাঙা অংশ, স্প্রিং, স্প্রিংবিহীন ম্যাগজিন, পিস্তলের গ্রিপ কভার, রেত পাথর, পিস্তলের বডি লগিং পিন, অস্ত্র মেরামতের ধাতব প্লেট, ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুইশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ইয়াকুব ও শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি এবং আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা আছে বলেও জানান ওসি।