চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজন : সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আরো বেগবান করার মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশের জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন। প্রধানমন্ত্রীর চলমান শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সমাবেশ এবং শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে একথা বলেন। সুজন বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির এক অমূল্য আমানত। এক সময় ক্ষুধা দারিদ্র খরার দেশ বলে উপহাস করা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দল, রাষ্ট্র, সমাজ সব জায়গায় শুদ্ধি অভিযান দরকার। একসময় মধ্যবিত্ত পরিবারের

ছিল তারা কোন আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়ায় আজ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমান সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তাদের আয়ের উৎস কি? তাদের অবৈধ সম্পদ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে দেশের উন্নয়নে করার সময় এসেছে। চট্টগ্রামেও শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, দুর্নীতি, মাদক, ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসায়ী, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি খাদ্যে ভেজালকারী, দলে অনুপ্রবেশ করে যারা অপকর্ম করছে তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। চট্টগ্রামে মাদক, ইয়াবা, স্বর্ণ ধরা পড়ে। এদের পেছনে নিশ্চয়ই কোন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী কেউ আছে। তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।

পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুজন বলেন, ৪০ টাকার পেঁয়াজ কেন ১৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে? শষ্যের ভিতরের ভুুুত আগে তাড়াতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া প্রকল্পের মধ্যে কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

এর আগে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল সহকারে সমবেত হয়ে পুরাতন রেল ষ্টেশন চত্বর লোকে লোকারন্য হয়। সংগঠনের আহবায়ক এ.এস.এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রকিবুল আলম সাজ্জির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান, নগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, হাসানুর রহমান লিটন, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ-সম্পাদক শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মো. সালাউদ্দিন, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, নগর সৈনিক লীগের আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, খলিলুর রহমান নাহিদ, আব্দুস সালাম মাসুম, মোরশেদ আলম, এনামুল হক মিলন, সাজ্জাদ হোসাইন, মোর্শেদ আলী, আবুল হাসনাত বেলাল, আনিসুর রহমান ইমন, কামরুল হক, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, ওয়াসিম আকরাম, সমীর মহাজন লিটন, রাজিব হাসান রাজন, তোফায়েল আহমেদ রয়েল, আশিকুন্নবী চৌধুরী, শাহনেওয়াজ রাজিব, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, তালেব আলী, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী প্রমূখ। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা পুরাতন রেল ষ্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউমাকের্ট কোতোয়ালী হয়ে লালদিঘী মাঠে গিয়ে শেষ হয়। লালদিঘীর মাঠে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার উদ্যোগে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট