চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাঁসিয়াখালীতে আদালতের নির্দেশে বসতবাড়ি উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা

১৪ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:০০ পূর্বাহ্ণ

আদালতের আদেশে অভিযান চালিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলায় একাধিক বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কবিরার দোকান এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বান্দরবান জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীনসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী মৌজায় এস.এম সিরাজুল হকের নামীয় (১৫৩২ নং আর হোল্ডিং মূলে) দুই একর জমি জবরদখল করে রাখে বেশ কয়েকটি পরিবার। জবর দখলের ঘটনায় এস.এম সিরাজুল হক বাদি হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০০৬ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দীর্ঘদিন চলার পর সিরাজুল হকের পক্ষে বিজ্ঞ আদালতের রায় হয়। আদালতের আদেশে গত বুধবার পুলিশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৫-৬টি বসতিস্থলে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে সীমানা পিলার লাগিয়ে দেন এবং বাদি এসএম সিরাজুল হককে জমি বুঝিয়ে দেন।

বাদি এস.এম সিরাজুল হক বলেন, আদালতের আদেশে জবর দখলকারীদের উচ্ছেদের পর আমার জায়গার চার পাশে তারকাঁটা দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু জবর দখলকারী বিবাদিরা পরদিন বেশ কয়েকটি পিলার উপড়ে ফেলে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উচ্ছেদকৃত আবুল কালাম, আজম সওদাগর, সোনা মিয়া, সাবের আহমদ, সাইফুল ইসলাম ও মাহমুদুল করিম অভিযোগ করে জানান, বিগত ৩০-৩৫ বছর ধরে ক্রয় সূত্রে এ জমি তারা ভোগদখলে আছেন। বিক্রেতা মারা যাওয়ার কারণে তারা এ জমি তাদের নামে নামজারি করতে পারেননি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এস.এম সিরাজুল হক অন্য স্থানের একটি কাগজ সৃজন করে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন উচ্ছেদ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বাদির জায়গা বাদিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট