চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চবিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে পেটালেন ছাত্রলীগ কর্মী

নিজস্ব সংবাদদাতা হ চবি

১২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. শুক্কুর আলম নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এককর্মী। গতকাল (রবিবার) রাত নয়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরকারীর নাম মোর্শেদুল আলম রিফাত, তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় গ্রুপের কর্মী। মারধরের শিকার শুক্কুর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ডিজেবল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (ডিসকো) র প্রচার সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (গতকাল) পরীক্ষা ছিল শুক্কুরের। গভীর রাতে পড়াশুনা করতে হবে তাই দোকানে এসেছিল পাউরুটি কিনতে। ওই দোকানে বসে থাকা রিফাত তার কাপড় ধরে টানতে থাকে। এতে শুক্কুর বিরক্তি প্রকাশ করলে রেগে যায় রিফাত। পরে সে চলে যাওয়ার সময় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে তাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি দিতে থাকে। এসময় তাকে পিছন থেকে লাথিও দেয় রিফাত। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শুক্কুর। পরে কয়েকজন ছাত্র তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিজেবল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (ডিসকো) এর সদস্যরা। এসময় হামলাকারীকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানায় তারা।
এ ব্যাপারে ডিসকো’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুক্কুর নামে আমাদের একসদস্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে মারধর করেছে রিফাত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। তার (শুক্কুরের) পরীক্ষা ছিল। সে দোকানে এসেছিল কিছু জিনিস কিনতে। চলে যাওয়ার সময় রিফাত তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে।

তিনি আরো বলেন, হামলাকারী রিফাত সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ছাত্র না হলেও বেশ কিছু দিন ধরে অবৈধভাবে সে ওই হলে অবস্থান করছে। অবিলম্বে হামলাকারী রিফাতকে গ্রেপ্তার করা না হলে আমাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। আমরা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া বলেন, ‘শুক্কুর নামে এক অন্ধ ছেলেকে মারধর করেছে এক ছাত্র। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। শুক্কুরকে নিয়ে প্রক্টর অফিসে আসতে বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বিষয়টির ব্যাপারে কথা বলতে বিজয় গ্রুপের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক মোহাম্মদ ইলিয়াছকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট