চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানে ৫ জনকে পুলিশে সোপর্দ ডায়াবেটিকস্ ফুড নামে মাশরুমের গুঁড়া বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা হ রাউজান

১৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:২১ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নে ডায়াবেটিক রোগ প্রতিরোধের কথা বলে ক্যাম্প করে বিএসটিআই ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনহীন ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ নামে মাশরুমের গুড়া বিক্রি করায় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী ধরে পরিচালকসহ ৫জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাশরুম বিক্রেতার পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- ও চট্টগ্রাম জেলায় আর কখনো এসব অবৈধ ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ বিক্রি করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।

উরকিরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কাউছার আলম, আবুল কাশেম ও মো. ফয়েজ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ কৃষি মন্ত্রণালয় সোহানবাগ, সাভার, ঢাকা লেখা মোড়কে

বাংলাদেশ সরকারের লোগো লাগিয়ে অনুমোদনহীন ডায়াবেটিকস্ ফুড নামে মাশরুমের গুঁড়ি বিক্রি করছিল স্থানীয় ডায়াবেটিক রোগীদের কাছে। এসব বিক্রির জন্য উরকিরচর মোহাম্মদীয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় একটি ক্যাম্প করে প্রতারক চক্রটি। মাদ্রাসা কমিটির অনুমোদন না নিয়ে ক্যাম্প করতে অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করেন এলাকার ডাক্তার পরিচয়ধারী পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নান। প্রতারক চক্রটি স্থানীয় পুরুষ মহিলাদের ৬মাস ব্যবহারে ডায়াবেটিক রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার কথা বলে। এও বলে সরকার তাদেরকে পাঠিয়েছে এ ওষুধ বিক্রির জন্য। প্রথমে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে ২০-২৫ জেলায়। পরবর্তীতে দেশের প্রত্যেক এলাকায় এসব ওষুধ বিক্রি করা হবে। এ ওষুধের দাম সাড়ে ৭শ টাকা হলেও সরকার ভুর্তকি দিয়ে ২শ ৫০ টাকায় আপনাদের দিচ্ছি। এমন সব বিভিন্ন প্রতারণামূলক কথা বলে তারা প্রায় ৪৫ হাজার টাকার মাশরুমের গুড়ি বিক্রি করে এলাকার নারী পুরুষের কাছে।’

মেম্বার কাউছার আলম বলেন ‘প্রতারক চক্রটির কথাবার্তা সন্দেহ হওয়ায় এলাকার কয়েকজন মানুষ বিষয়টি আমাকে জানান। পরে আমি ও এলাকার লোকজন এসে প্রতারক চক্রের সঙ্গে কথা বলি। তারা মোড়কে সরকারের নাম বিক্রি করলেও মোড়কের ভেতরে প্যাকেটে অনুমোদন এবং ব্যবহারের সময়সীমা দেয়নি। এ কারণে এর সাথে জড়িত ৫জনকে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশে সোপর্দ করি আমরা। সোপর্দকৃতরা হলো মাগুরা জেলার মাগুরা সদরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ও ‘ডায়াবেটিকস্ ফুড’ পরিচালক বাবুল আকতার, তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হাছান, কানিজ ফাতেমা, সোনিয়া খাতুন। পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীরের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহকারী সমীর বলেন ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার রাতে বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকায় পরিচালক বাবুল আকতারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- দেন এবং চট্টগ্রাম জেলায় আর কখনো এসব মাশরুমের গুঁড়ি বিক্রি না করার ব্যাপারে মুচলেকা নেন।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট