চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাঁদে ফেলে প্রতারণার দায়ে তিন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় জিম্মি হওয়া ওই কর্মকর্তাকেও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন যুবক চট্টগ্রামের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তারা অভিজাত পরিবারের সন্তান। পুলিশ জানায়, তিনজনেই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ইউএসটিসির ছাত্র তালিম উদ্দিন (২৪), চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফতেখারুল আলম (২৫) ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা সালেহিন আরাফাত (২৮)।

পুলিশ জানান, হাসান তারেক (৩৭) নামের এই ব্যক্তি ওষুধ কোম্পানি রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালসে কর্মরত থাকার ফলে গত দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যান। কাজের ফাঁকে নগরীর আকবরশাহ বিশ^কলোনীর ডি ব্লকের বাসিন্দা ইশরাত (১৮) নামে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয় এবং দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা চলতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাত তার বাসায় ডেকে নেয় তারেককে। যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই বাসায় চার যুবক প্রবেশ করে এবং তারেককে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। একই সাথে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায় তারা। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে হাসান তারেক বিকাশের মাধ্যমে ২৪ হাজার টাকা এনে দেয়। কিন্তু এত অল্প টাকায় আসামিরা আপত্তি জানালে ওষুধ কোম্পানির এই কর্মকর্তা তার বোন শারমিন ফারজানাকে ফোন করে দুটি চেক নিয়ে খুলশী থানাধীন ফয়’স লেক ইউএসটিসি হাসপাতালের সামনে আসতে বলে।

শারমিনের দেয়া তথ্যমতে খুলশী থানার ওসি বলেন, ভাইয়ের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে বোন শারমিন ফারজানা পুলিশের হটলাইন নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিস্তারিত জানান। অভিযোগ আসার পরপরই গতকাল শুক্রবার সকালে খুলশী থানার একটি টিম ছদ্মবেশে ইউএসটিসির সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে শারমিনের কাছ থেকে চেক নিতে আসলে পুলিশ তালিম উদ্দিনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে বিশ্বকলোনীর ডি ব্লকের ওই বাসা থেকে জিম্মি হওয়া ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। একই সাথে সালেহিন আরাফাত ও ইফতেখারুল আলমকে গ্রেপ্তার করে। তবে ইসরাত ও মোহাম্মদ রুমি নামে ওই দুইজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় শারমিন ফারজানা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন জানিয়ে ওসি আরও বলেন, তিনজনেই সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্য।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট