চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষণাবেক্ষণে নেই তদারকি

৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ মে, ২০১৯ | ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পতেঙ্গা সৈকতকে বিশ্ব মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে শতকোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সমুদ্রের ঢেউয়ের আদলে ৩ ধাপে করা হয়েছে পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধন। সমুদ্রের ঢেউ যেমন একবার ফুলে ওঠে আবার মিলে যায়, ঠিক তেমনি ঢেউয়ের তিন স্তরের আদলে সাজানো হয়েছে সৈকত পাড়। যেখানে সৈকতের ঠিক পাড়েই তৈরি করা হয়েছে ওয়াকওয়ে, তার একটু উপরে সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে নানান ফুলের বাগান এবং তার উপরে করা হয়েছে ব্যাপক প্রশস্তের রিং রোড। তবে শতকোটি টাকা ব্যয়ে করা এ সৌন্দর্য বর্ধন রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোন তদারকি। ফলে কিছু অসচেতন দর্শনার্থীদের জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সমুদ্র পাড়ে গড়ে তোলা এ সৌন্দর্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকত পাড়ে যে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে আছে তার ওয়াল ঘেঁষে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করা বসার স্থান। যা দর্শনার্থীদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সেখানে মাটি ফেলে লাগানো হয়েছে ঘাসসহ নানান ধরনের ছোট ছোট গাছ। তবে বসার জায়গায় না বসে গাছ মাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় কিছু অসচেতন দর্শনার্থীদের। যার ফলে সেখানে লাগানো গাছগুলো পায় না বেড়ে ওঠার সুযোগ।
শুধু বসার জায়গায় দাঁড়ানো নয়, সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে রিং রোডের পাশজুড়ে লাগানো ফুলের গাছগুলো থেকে ফুল ছিড়তেও দেখা যায় এসব অসচেতন দর্শনার্থীদের। এছাড়া লিংক রোড থেকে সাগরে নামতে সিডিএ যে সিঁড়ি নির্মাণ করেছে সেগুলোর ওপর থাকা বেশকিছু টাইলসও পাওয়া যায় ভাঙা অবস্থায়। ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায় সাগরের পাথরজুড়ে। এদিকে সমুদ্রের সৌন্দর্য রক্ষায় সেখানে হাজার টাকার জরিমানা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড বসিয়েছে সিডিএ। যেখানে ময়লা ফেলে সৌন্দর্য নষ্ট করলে এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে উল্লেখ করা হয়। অথচ সাইনবোর্ড লাগালেও তার তদারকির জন্য কাউকে রাখেননি সিডিএ। তবে সেখানে বেশকিছু গার্ড নিয়োগ করতে দেখা যায় সিডিএ’কে। তবে তারা যেন ডাল আর তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো। চোখের সামনেই নানান অনিয়ম দেখেও চুপ থাকতে দেখা যায় এসব গার্ডদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্ড পূর্বকোণকে বলেন,‘যাদেরকে আপনি বসার জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন তাদেরকে আমরা বলেও নামাতে পারি না। অনেককে অনুরোধ করলে কথা শুনেন আবার কেউ কেউ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গালি গালাজও করেন। আর এ ভয়ে অনেক কিছু দেখেও দেখি না। এখানে সব থেকে বেশি বিশৃঙ্খল করে দল বেধে আসা ছেলে-মেয়েরা বলেও জানান এই গার্ড’।
প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শাম্স পূর্বকোণকে বলেন,‘পতেঙ্গা সৈকতে সৌন্দর্য বর্ধন রক্ষণাবেক্ষণ করতে আমরা খুব শীগ্রই নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেবো। যা ইতিমধ্যে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট এবিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি নির্দেশনা দিলে একজন অপারেটর এর তত্ত্বাবধায়নে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট