চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

থানচিতে ফলাফল বিপর্যয়, হতাশ অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, থানচি

৮ মে, ২০১৯ | ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের থানচিতে এসএসসি ফলাফল বিপর্যয়ের অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র হতে এবারে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১২৫ জন এর মধ্যে ৫৮ জন পাস করেছে বিভিন্ন গ্রেডে বাকি ৬৭ জন ফেল করেছে পাসের হার ৫১.৬৭।
জানা যায়, ২০১৯ সালে থানচি উপজেলা মোট ৪টি উচ্চ বিদ্যালয় হতে নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মোট ১২৫ জন। রেমাক্রী উচ্চ বিদ্যালয় ও বলিপাড়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ২টি বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন যোগ করে ৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন তার মধ্য থেকে ২৫ জন পাস ৩৫ জন ফেল করেছে। অপরদিকে থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় ২টি রেজিস্ট্রেশন যোগ করে মোট ৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা অংশ নিয়েছিল তম্মধ্যে ৩৫ জন পাস করেছে ৩২ জন ফেল করেছে পাস করার মধ্যে অনিয়মিত ১২ জন রয়েছে সর্বোপরি পাস করেছে মাত্র ২১ জন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মে স্কুল ছুটি দেয়া বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক না থাকায় পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ও গ্রেড দেখতে নানা অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সন্ধ্যা ৬টা থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাইট গার্ড পলাশ মল্লিক রেজাল্ট শিট বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী সরকারিকরণে ঘোষণা পর থেকে পাসের হার কমতে শুরু করেছে। কি কারণে এসব হলো ? প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, শিক্ষকদের পাঠদানে অমনযোগী রীতিমতো ক্লাস না করার ও শিক্ষকদের অবহেলা অনিয়মের কারণ বলে দায়ী করেছেন। গত সোমবার পরীক্ষা রেজাল্ট দেয়ার কথা সকলেই জানেন কিন্তু এ সময়ের কোন শিক্ষক একদিনের জন্য হলেও থাকার প্রয়োজন ছিল। কারণ জানতে চাইলে থানচি উপজেলা দুই ইউনিয়নের মধ্যে নেটওয়ার্ক আওতা আসে নাই। মোবাইল চালাতে জানে না এমন ব্যক্তির পক্ষে ইন্টারনেট দেখার সুযোগ নাই। সুতরাং তাদের পক্ষে অসুবিধা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিপুল বড়–য়া বলেন, দুপুর ১২টায় রেজাল্ট পেয়ে শিট বান্দরবান হতে শেষ ট্রিপের বাসে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট