চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্ণফুলীতে খাল দখল করে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা , কর্ণফুলী

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশে কর্ণফুলী উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুর একটার দিকে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মইজ্জারটেক সংলগ্ন এলাকায় খাল দখল করে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত । উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।

জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা থেকে উৎপত্তি হওয়া খালটি সৈন্যার টেক হয়ে মইজ্জারটেক এসে শিকলবাহা, চরপাথরঘাটা ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে চার কিলোমিটার খালটি। কর্ণফুলী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া চরলক্ষ্যা খাল নামের এই খালের পানি দিয়ে তিন ইউনিয়নে চাষাবাদ হয়। পাশাপাশি বর্ষায় লোকালয়ের পানি কর্ণফুলী নদীতেও গিয়ে পড়ে। কিন্তু চরলক্ষা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এলাকার মইজ্জারটেক মোড় সংলগ্ন এলাকায় খাল দখল করে জেপি সুয়েটার নামের একটি কারখানা নির্মাণ করা হয়। এতে করে চাষাবাদ ও পানি নিষ্কাশনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয় নিয়ে গত মে মাসে উপজেলা সহকারী কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন জেপি সুয়েটারে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণে নিরব থাকে। এতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার স্থানীয় সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে স্থানীয় আ. লীগ নেতাকর্মী ও জনসাধারণ তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সাথে সাথে কর্ণফুলীর ইউএনওকে খাল দখল করে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা বেগম নেলী বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে দখলে রাখা খাল ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় এ উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে। এছাড়াও খালের দুইপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানিদেরও মৌখিকভাবে খাল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ খালে যতদিন অবৈধ স্থাপনা থাকবে, ততদিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট