চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

উখিয়ায় হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ছয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী 

অনলাইন ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার হত্যা মামলার আসামিসহ ছয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে কুতুপালং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মৃত মো. আলীর ছেলে মো. সৈয়দকে (৩৫) একটি কিরিচসহ আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল মনসুর জানান, ২০১৯ সালের ২৫ মে রাস্তা নির্মাণের ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের তর্ক বির্তকের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলার মো. সৈয়দ আসামি। একই রাতে উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার ঘোনারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গুলিসহ ছব্বির আহম্মদ (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ।

ক্যাম্প পুলিশের এস আই জিয়া উদ্দিন জানায়, সে কুতুপালং ডি-৪ এর দিন মোহাম্মদের ছেলে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুর মনসুর জানান, ছব্বির আহম্মদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে উখিয়ায় কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্প পুলিশ রবিবার রাতে অপহরণকারী রোহিঙ্গা ইমাম হোসেনের বাড়ি হতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত রোহিঙ্গা আইয়ুব আলীকে (৪৫) উদ্ধার করা হয়েছে। সে কুতুপালং ক্যাম্পের ৬নং ব্লকের হোসেন আলীর ছেলে। এ সময় পুলিশ অপহরণকারী বালুখালী ক্যাম্পের আমির উদ্দিন (৬০), ওমর মিয়া (৫০), মো. আইয়ুব (৩৫) ও মো. আরব (৩০) নামে চার রোহিঙ্গাকে আটক করে।

উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোরশেদ আলম জানান, আইয়ুব আলীর নিকট থেকে অপহরণকারীরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তাকে অভিনব কায়দায় অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা তাকে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় আইয়ুব আলীকে উদ্ধার ও চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় উখিয়া থানার উপ-অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/ময়মী

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট