চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে বক্তারা

আ. লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা

পূর্বকোণ ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ২:০১ পূর্বাহ্ণ

২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্নস্থানে সভা সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। আয়োজিত সভা-সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আ. লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার আরেকটি অপচেষ্টা।
চবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ: ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্যোগে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে ২১ আগস্ট সকাল ১০ টায় এক মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক আইভি রহমানসহ নিহত ২৪ নেতাকর্মীকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং হামলায় চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণকারী আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃন্যতম-বর্বরোচিত ন্যাক্কারজনক অধ্যায়। এ হামলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার আরেকটি অপচেষ্টা। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল বার বার নীলনকশা প্রনয়ণ করে চলেছে। মহান স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল তাতে তারা সফল হতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চবি’র সভাপতি প্রফেসর ড. রাশেদ-উন-নবীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মশিবুর রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, অফিস প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক উদ্যোগ: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনাটি একেবারেই অকল্পনীয়। রাজনীতিতে যে বিশাল ঘুনপোকা ধরেছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল এ ঘটনা। রাষ্ট্র কিভাবে প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদদের উপর দমন নিপীড়ন চালাতে পারে তার নজিরবিহীন প্রমাণ সেদিন সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সরকার। যার নেতৃত্বে ছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী খুনী তারেক রহমান। এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ আর মানবতাবিরোধী ঘটনা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ঘটাতে পারে তা একেবারেই অকল্পনীয়। তিনি গতকাল ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগে আয়োজিত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তারেক রহমানসহ খুনিদের ঘৃণা জানানো ও আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে যথাযথ করণীয় নির্ণয়ের লক্ষে জাতিসংঘসহ বিশ্ববিবেকের কাছে আহ্বান জানিয়ে আকাশের ঠিকানায় খোলা চিঠি উড়ানো কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ আহবায়ক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক প্রফেসর মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রকৌশলী বিজয় কুমার চৌধুরী কিষান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চউক বোর্ড সদস্য আশিক ইমরান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি পিনাকী দাশ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, এডভোকেট চন্দন তালুকদার ও সুমন দেবনাথ, বিমল কান্তি দে, মিটুল দাশগুপ্ত। সমাবেশের সভাপতি ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, এই খোলা চিঠির মাধ্যমে আমরা মূলত স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর রাজনৈতিক ও আদর্শিক উত্তরাধিকারকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী ও গণবিদ্বেষী শক্তি কীভাবে মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে তাই বিশ্ববিবেকের কাছে তুলে ধরেছি। আয়োজকরা কালোব্যাজ ধারণ করেন এবং আকাশের ঠিকানায় দেয়া খোলা চিঠিতে সংযুক্ত বেলুনে নানা রঙের মিশেলের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের প্রতীকী রূপ তুলে ধরা হয়।
মহানগর ছাত্রলীগ : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান ও ২৪জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর আত্ম ত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল ২১ আগস্ট বিকেল ৩ টায় নগরীর বহদ্দার হাট মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তালেব আলী, ইয়াছিন আরাফাত কচি, নাঈম রনি, শাহীন মোল্লা, আ ফ ম সাইফুদ্দীন, নোমান চৌধুরী, সৌমেন বড়–য়া, আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী রনি, খোরশেদ আলম মানিক, সম্পাদক হাসানুল আলম সবুজ, মিনহাজুল আবেদীন সানি, মো. বিন ফয়সাল, ওসমান গণি বাপ্পি, উপ সম্পাদক শফিকুল আলম পারভেজ, বোরহান উদ্দিন ফরহাদ, সহ-সম্পাদক কায়সার মোহাম্মদ রাজু, সাব্বির শাকির, হৃদয় মিত্র সুমন, রাহুল দাশ, সদস্য মোস্তফা কামাল, আবুল কালাম আজাদ, মোশরাফুল হক পাভেল, জাকারিয়া হাবিব জাবির, আরফাত রুবেল, মিজানুর রহমান, আবু তৈয়্যব সোহেল প্রমুখ।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ :আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা সংগঠন কার্যালয়ে সংগঠনের আহবায়ক এড. এ এইচ এম জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কেবিএম শাহজাহান, সালাহউদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সাদেক হোসেন চৌধুরী পাপ্পু, নুরুল কবির, তারেক মাহমুদ পাপ্পু, সত্যজিৎ চক্রবর্তী সুজন, আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী, পংকজ চৌধুরী কংকন, জিয়া আমানত নয়নসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুন সরকার রানা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করে।
পরে সংগঠনের গুলশান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রনায়িকা রোজিনা, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, অরুনা বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, তানভিন সুইটি, মোত্তাছিম বিল্লাহ, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, অভিনেত্রী সোনিয়া পারভীন শাপলা, আওলাদ হোসেন রুহুল, আফসার উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন মন্টু, হাবিবুল্লাহ রিপন, অধ্যক্ষ আহসান সিদ্দিকী সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মহানগর মৎস্যজীবী লীগ : সংগঠনের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা সংগঠনের মহানগর মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আমিনুল হক বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. গাফফার কুতুবীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম.এ. মোতালেব তালুকদার। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা গণতন্ত্রের এক কালো অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে নির্মমভাবে যারা খুন করেছিল তাদেরই দোসর ২০০৪ সালে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়নে জঙ্গি গোষ্ঠীদের মদদে এ হামলা চালিয়েছিলো। আমরা গ্রেনেড হামলার মদদদাতা তারেক জিয়াকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানাই এবং জামাআত ইসলামী ও তাদের জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অতিস্বত্বর বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন এম এ আজিজ, হেমায়েত হোসেন মিঠু, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ওয়াহিদুর রহমান, মোহাম্মদ মুসা, এম এ জামান, মো. সেলিম, কাউসার উজ জামান, শামসুল আলম, এন এম রাজু চৌধুরী, আলমগীর জামান, রিমন বড়ুয়া, মো. আমিন, সিরাজুল ইসলাম, মো. আলমগীর মিয়া, আবুল বাশারসহ থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে তবরুক বিতরণ করা হয়।
বিজয়’৭১ : সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল বুধবার চেরাগী চত্বরে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সজল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও লায়ন আবু ছালেহ্’র সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন ডা. আর. কে রুবেল। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন প্রশান্ত চৌধুরী যিশু। প্রতিবাদ সমাবেশ সংহতি রেখে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আজম নিজামী, মুক্তিযোদ্ধা মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া, ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম জিএম নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, ড. জিনবোধি ভিক্ষু, কাউন্সিলর স্যাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, বিজিএপিএমইএ ১ম সহ-সভাপতি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম, সাহাব উদ্দিন, সুজিত কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, রাখাল চন্দ্র ঘোষ, রফিকুল ইসলাম, পান্টু লাল সাহা, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল মিত্র, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
চান্দগাঁও থানা যুবলীগ: চান্দগাঁও থানা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যেগে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চান্দগাঁও সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে নগর যুবলীগ নেতা এসরারুল হকের নেতৃত্বে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে গ্রেনেড হামলায় সকল শহীদদের স্বরণ করা হয়। এসময় নেকা কর্মীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকল সদস্য ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টে বর্বরচিতো গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান।
সৃজন সাংস্কৃতিক পরিষদ : সৃজন সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি অভিষেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হারাধন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সলিল আচার্য্য আন্না ভট্টাচার্য্য। বন্ধুত্ব সম্পাদক রীমন দে’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ওয়াসিম রেজা জাওয়াদ, সুষ্মিতা চৌধুরী, দূর্জয় দে, মো. মেহেদী হাসান।
হযরত আলী শাহ (র.) ইনস্টিটিউট : পতেঙ্গায় হযরত আলী শাহ (র.) ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা গতকাল ২১ আগস্ট সকাল ১১টায় উত্তর পূর্ব হোসেন আহমদ পাড়ায় ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি শীলের সভাপতিত্বে এবং আমিনুল হক শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর আবদুল বারেক কোম্পানি। এসময় বক্তব্য রাখেন হালিমা বারেক, সুরমা আজিজ, শারমিন আক্তার, পারভিন বেগম। সভায় কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ আতিক ও নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা রবিউল হোসেন।
২১আগস্টের রক্তপিপাসু প্রতিরোধ মঞ্চ : সংগঠনের উদ্যোগে নগরীর বহদ্দারহাটে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজুল আবেদিন সায়েমের সভাপতিত্বে ও কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুকসুদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ঈসা, অলিদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দীন খোকন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কে এম শহীদুল কাওসার, নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য লিটন রায় চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগ নেতা এ জেড এম খসরু, মো. সায়েম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইয়াসিন আরাফাত, আ জ ম নাছির উদ্দিন শিক্ষা পরিষদের সভাপতি ফয়সাল বাপ্পী, হাজেরা তজু কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোজাম্মেল হক, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন, নগর যুবলীগ নেতা তারেক ইকবাল, নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মাহী,যুবনেতা ইঞ্জি. দিদারুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আবু সায়েম, নগর ছাত্রলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হুমায়ুন কবির, নাছির উদ্দীন কুতুবী, হেমায়তুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল্লাহ আল সুমন, কামরুল ইসলাম আরমান, তুষার সম্পদ, এম আর কে আবিদ, ইমরান হোসেন মনি, বিশ্বজিত সেন, রিদুয়ানুল ইসলাম, মোহাইমেনুল ইসলাম শুভ, ফরহাদ খান, ফারুক আজম শাওন, ইয়াছিন আরাফাত, ইরফান মাহমুদ, শাহেদ আমিন, সাগর ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট