চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রশাসনের বাধা মানছে না কেউ

শঙ্খে বালু উত্তোলন চলছেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে এলাকার বালু ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে খানখানাবাদ চৌধুরীঘাটে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয় জনগণ প্রশাসনকে অবহিত করলে খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ অভিযানে নামে। অভিযানের খবর পেয়ে ড্রেজার মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায় বালু ব্যবসায়ীরা। এর আগে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ ও ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হলেও বালু ব্যবসা থামেনি। প্রতিনিয়ত শঙ্খ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের বালু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শঙ্খ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিন ট্রাকযোগে বালু বহনের কারণে রাস্তাঘাট ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় অবহিত করলেও সঠিক তদারকি না থাকার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে এ ব্যবসা চালু রাখেন। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ১২/১৫ ট্রাক বালু। মাটিমিশ্রিত এই বালুগুলো সরকারি উন্নয়ন কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় আবুল কাশেম ও খোরশেদ আলম জানান, শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। শত শত পরিবার জায়গা-জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। খানখানাবাদের যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন জানান, গত ১ মাস ধরে বোরহান উদ্দীন নামে এক বালু ব্যবসায়ী খানখানাবাদ ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাটের ঈশ্বর বাবুরহাট সংলগ্ন শঙ্খ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
ইউএনও মোমেনা আক্তার জানান, পুকুরিয়ার কুমারি ছড়া থেকে জসিম উদ্দীন, নুরুল হাসান চৌধুরী, কাসেম চৌধুরী, আয়ুব চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, মনির আহাম্মদ, দেলোয়ার, মামুন, কাউছার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলন নিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দে¦র সৃষ্টি হওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদর উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলনের নিয়ম নেই। শঙ্খ নদী ভাঙন রোধে সরকারিভাবে বেড়িবাঁধ দেয়া হচ্ছে। বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউএনও মোমেনা আক্তার বলেন, শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পূর্বেও বালু ব্যবসায়ীদেরকে আটক করে জরিমানা করা হয়েছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট