চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

টেকনাফে নৌকা ডুবিতে নারীসহ ৪ রোহিঙ্গা নিখোঁজ

নিজস্ব সংবাদদাতা

৪ মে, ২০১৯ | ২:৪২ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের জাদিমোরা পয়েন্টে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন সাতাঁর কেটে কূলে ফিরে আসলেও এখনো নারীসহ ৪ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানের আদম পারাপারের চোরাই ঘাট দালালেরা এখনো সক্রিয় থাকায় সীমান্তে এসব অপতৎপরতা দমন করা যাচ্ছেনা। জানা যায়, ৩ মে রাত ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা দক্ষিণ জাদিমোরা পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বোঝাই একটি নৌকা বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ওপারে চলে যাওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট নাফনদীর উত্থাল পানিতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। এদের মধ্যে ভেসে গিয়ে জালিয়ার দ্বীপে অবস্থান নেওয়া জাদিমোরা ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী লালুর পুত্র রবিউল আলম (৪০), রবি আলমের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত (১০), হাবিব উল্লাহর পুত্র মো. কায়সার (১১) কোন প্রকারে কিনারায় ফিরে আসে। রাত ৯টায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত রোহিঙ্গা মৃত আবুল ফয়েজের স্ত্রী গোল ছেহের (৭০), কুতুপালং ক্যাম্পের অজ্ঞাত । ১১ পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ ক.

আরো ১ মহিলা ও ২ পুরুষসহ এখনো ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের জীবিত অথবা মৃতদেহের সন্ধানে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুল করিম মাঝি চোরাইপথে নাফনদী পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবি ও নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় আব্দুল মোনাফ কোম্পানী বলেন, ‘সীমান্তের এই পয়েন্টে কতিপয় স্থানীয় এবং রোহিঙ্গা মিলে রাতের আঁধারে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা দরকার’।
দমদমিয়া বিওপির নায়েক সুবেদার মনির বলেন, ‘এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে রাতের আঁধারে ফাঁক-ফোকর দিয়ে হয়ত আসা-যাওয়া করতে পারে। এতে বিজিবির জওয়ানদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। সীমান্ত পরিস্থিতি নষ্টকারী কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা’।
এদিকে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জাদিমোরা ঘাটে হাবিবুল্লাহর বাড়িতে বসবাসকারী হামিদ মাঝি, তার পুত্র কামাল, সলিমুল্লাহর পুত্র ওসমান, সোলতানের পুত্র আব্দুল গফুর নাগু, বাছাঁ মিয়ার পুত্র ছৈয়দ হোছন লেইংগ্যা, মৃত ছৈয়দ হোছনের পুত্র মোস্তফা কামাল ওরফে লম্বা মলই, মৃত অলি আহমদের পুত্র তাহের, মীর আহমদের পুত্র আয়ুব খাঁনসহ রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী আদম পারাপারের চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। ঘাটের দালালেরা ওপারে গমনকারী রোহিঙ্গাদের জনপ্রতি ১০হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট