চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হাটহাজারীতে হালদা তীরে উপমন্ত্রী শামিম

বেড়িবাঁধ নির্মাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের

নিজস্ব সংবাদদাতা

৩ মে, ২০১৯ | ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

হালদা বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে যাদের জমি প্রকল্পে ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও যাদের কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করা হয়েছে তাদের প্রত্যেককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা রামদাশ মুন্সীর হাট এলাকায় হালদা তীরে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী শামিম সাংবাদিকদের এক

ব্রিফিংয়ে কথাগুলি বলেন। মন্ত্রী বলেন, ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য রাউজান ও হাটহাজারী অংশে হালদা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের শতকরা ৮৫ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নির্মাণের মধ্যে ১২কিলোমিটার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই কাজ শেষ হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন জনস্বার্থে অগ্রাধীকার দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে হালদার জন্য সব কিছু করা হবে। স্থানীয়দের অনুরোধে বেড়ি বাঁধে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সৌর বিদ্যুৎ বাতি স্থাপন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায় নিয়ে হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান, নদী কুলের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও অভিযোগ মনযোগ সহকারের শ্রবণ করেন মন্ত্রী। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সাধারণ মানুষের জমি ব্যবহার করলেও তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ প্রকল্প হলেও তারা এলাকার জনপ্রতিনিধি কিংবা কারো কোন কথা শুনছেন না। ইচ্ছামত মানুষের কৃষিজমি প্রকল্পে ব্যবহার করছে, কৃষি জমি থেকে গভীর করে মাটি কেটে নিচ্ছে কিন্তু কোন ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না, কথা বলতে চাইলে উল্টো সেনাবাহিনীর ভয় দেখায় পাউবোর কর্মকর্তারা। ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, উচু এ বেড়িবাধ নির্মাণের পর দুই পার্শ্বে গ্রামীন সড়কের সংযোগ করে না দেয়ার কারণে বাধের দুই পার্শ্বের জনসাধারণ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পথ চলাচলে বিপাকে পড়েছে।
পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তরজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম শামসুল করিম, চট্টগ্রাম জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার, আব্দুল মজিদ ও মঞ্জুর হোসেন চৌধুরী মাসুদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট