চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বেশির ভাগ সড়কে ফুটপাত নেই আন্দরকিল্লায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মে, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

স্বল্প আয়তনের আন্দরকিল্লায় প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কে নেই ফুটপাত। এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে ব্যস্ততম সড়কের বিরাট এলাকাজুড়ে করা হয় পার্কিং। আর বিভিন্ন সড়কের পাশজুড়ে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনেক কাঠখড় পুুড়িয়ে যানজট নিরসনে লালদিঘি পাড় থেকে নগর ভবন ও বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়কটি ওয়ানওয়ে করলেও এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। লালদিঘির পাড় থেকে আন্দরকিল্লা মোড় পর্যন্ত সড়কটি দু’পাশ দখলে নিয়েছে ভাসমান হকাররা। অথচ নগরের প্রধান ব্যস্ততম সড়ক বিবেচনায় শত বছরের পুরনো অনেক দোকানদারকে উচ্ছেদ করে সড়কটি প্রশস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় দোকানদারার বলেন, লালদিঘির পাড় থেকে সড়কটি ওয়ানওয়ে করার সময় আমাদের দোকানের অধিকাংশ জায়গা ছেড়ে দিয়েছি যানজট হ্রাসের জন্য। কিন্তু এর কোনো সুফলই আমরা পাচ্ছি না। পুরো সড়কটি এখন ভাসমান দোকানদারদের দখলে চলে গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কটি অফিসফেরত পথচারীর সদাইয়ের মোক্ষম স্থানে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে লালদিঘি পশ্চিম পাড় সংলগ্ন সড়কটির অবস্থাও খুবই নাজুক। পুরো সড়কটিই মাইক্রোবাস চালকদের দখলে থাকে। সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গাজুড়ে উভয় পাশে দিনভর গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। সাধারণ মানুষ কিছুতেই পথটি ব্যবহারের সুযোগ পায় না। নিরূপায় হয়ে অনেক নারী পথচারী পুরাতন গির্জার বিকল্প পথটি ব্যবহারে বাধ্য হন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ মাসোয়ারা নিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি মাইক্রোর জায়গায় কয়েক’শ গাড়ি পার্কিংয়ের অবৈধ সুযোগ করে দিয়েছে। স্বর্ণ এবং ওষুধের পাইকারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত হাজারি লেন সঙ্গত কারণেই অধিক ব্যস্ততম এলাকা। এখানে দিন দিন বাড়ছে বসবাসকারী, বাড়ছে বহুতল ভবন। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে হাজারী লেইনের সরু গলি দিয়ে এম্বুলেন্স আনা কিংবা আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশও কঠিন। এছাড়া এ এলাকায় পারতপক্ষে কেউ গাড়ি ঢোকান না। কারণ সরু এ গলিতে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে অসংখ্য মানুষ।
যোগাযোগ করা হলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, আন্দরকিল্লা মোড় থেকে লালদিঘিল পাড় পর্যন্ত সড়টি ওয়ানওয়ে করেছে সিডিএ।
কিন্তু সড়কের দু’পাশে ফুটপাত সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে পারছেনা। দখল করে রেখেছে হকাররা। প্রকৃত হকারদের একটি তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। যাদেরকে নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে। জহর লাল বলেন, নজির আহমদ সড়টির ব্যাপারে সিডিএর প্রকল্প আছে। কিন্ত এর মধ্যে জায়গা ছেড়ে না দিয়ে সড়কের পাশে একটি মাদ্রাসা ও একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সড়কের কাজ করতে গেলে এসব ভবন সরানো যাবে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট